দেশের রাজাকার ও জঙ্গিরা দেশদ্রোহী, মানুষরূপী দানব’ তথ্যমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে নির্বাচনের নামে রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের আপস ফর্মুলা বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

লেখক-সাংবাদিক আবু সাঈদ খানের ‘ফিরে দেখা একাত্তর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শ্রাবণ প্রকাশনীর উদ্যোগে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এ প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজাকার ও জঙ্গিরা দেশদ্রোহী; মানুষরূপী দানব। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রাজাকারদের সহাবস্থানের বদঅভ্যাস বাদ দিতে হবে। এদের সঙ্গে কোনো আপস কিংবা মিটমাট হতে পারে না।

হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশ সঠিক পথে আছে কি-না তা পরীক্ষা করার জন্য বারবার ‘৭১-এ ফিরে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘ফিরে দেখা একাত্তর’-এর মতো গ্রন্থের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও মহান মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক ও সমৃদ্ধ ইতিহাস গ্রন্থ রচিত হয়নি। এটা খুবই জরুরি। এ ধরনের একটি ইতিহাস রচনা করতে হলে খণ্ডিত ইতিহাস গ্রন্থগুলো প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে শুধু নয় মাসে সীমাবদ্ধ করলে খণ্ডিত চিত্র উঠে আসবে। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের সর্বব্যাপী দিক থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামকে মূল্যায়ন করতে হবে।

বইয়ের লেখক দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাঈদ খান তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কোনো ইতিহাস আমি রচনা করিনি। তখনকার যে ঘটনাগুলো হৃদয়ে দাগ কেটেছে, সেগুলো তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, কোনো বিশেষ দল নয়, ‘৭১-কে একাত্তরের জায়গা থেকে দেখতে চেয়েছি। ঐতিহাসিক দুর্বলতা ধামাচাপা দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম খাদে পড়ে যাবে।

সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, অনেকটা স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থটি আমার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলোকেও নাড়া দিয়েছে। এটা একটা ‘ডকুমেন্ট’ হিসেবে গবেষকদের সহায়তা করবে।

ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুশতাক হোসেন বলেন, লেখক মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন-যা একাত্তরের বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, অনেকটা উপন্যাসের ঢংয়ে ‘ফিরে দেখা একাত্তর’ বইটি শুরু হয়েছে। ছোটগল্পের দ্যোতনাও এতে আছে। পুরোটা এভাবে শেষ করতে পারলে এটি একটি ভালো উপন্যাস হতে পারত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রবীন আহসান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর