মুশফিকের চেয়ে বেটার অপশন আমাদের নেই

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন যখন-তখনই। তার এই সংবাদ সম্মেলনের কথা গুটিকয়েক সংবাদমাধ্যম ছাড়া কেউ জানে না। এরই মধ্যে কয়েকটি পত্রিকা ও টিভি’র সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। আর সেখানেই বেধেছে বিপত্তি। মুশফিকুর রহীমের অধিনায়কত্ব নিয়ে বোর্ড সভাপতির দেয়া বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। তাই আবারও হুট করে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে তার অবস্থান পরিষ্কার করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। শুধু মুশফিকুর রহীমই নয় সেই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়েও খেলামেলা কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। মুশফিকুর রহীমের অধিনায়কত্ব নিয়ে বলেন, ‘ন্যাচারালি ওখানে দুই-একটা প্রশ্ন এসেছে লাস্ট টেস্টে কয়েকটি ডিসিশনের ব্যাপার ছিল। যেটা নিয়ে কনফিউশন আছে আমার কাছে কোচ বলেন, ম্যানেজমেন্ট বলেন, ওইভাবে কোন ধরনের কমপ্লেইন করেনি। তবে- আমি ওই সময়টাতে লন্ডনে ছিলাম। ব্যাটিং না নিয়ে ফিল্ডিং কেন,  আমারও মনে হয়েছে। আমি ফোন করে সাকিবকে পাই। সাকিবকে জিজ্ঞেস করি, যদিও সাকিব ক্যাপ্টেন না। আমরা সবাই মিলেই ডিসিশন নিয়েছি। ওই সময় মাঠের কন্ডিশন অনুযায়ী ওটাই ভাল মনে হয়েছে। এই ডিসিশনটা ভাল। যদি আমাদের পেসার ইনজুরড না হতো আরলি উইকেট পাবো অলমোস্ট সবার এটা ধারনা ছিল। ব্যাড-লাক যে ইনজুরড হয়ে গেছে। তখন এটা নিয়েও কথা হয়েছে মুশফিকের ক্যাপ্টেন্সি পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কী না। আমি বলেছি এই বছরের মধ্যে তো নাই। দ্বিতীয়ত- আমি এটাও বলেছি, আপনি যে এটা বলছেন আমাদের তো কোনো অপশনও নাই।’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘এখন যে টিম আমাদের আছে। মুশফিকের  চেয়ে বেটার অপশন আমাদের এখানে নাই। মুশফিককে রিপ্লেস করার মতো কোন চিন্তাই এখনও পর্যন্ত আমরা করিনি, এখন যে কয়টা সাকসেস আছে তার বেশির ভাগই মুশফিকের ক্যাপ্টেন্সিতে। তাই আমরা ওর ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে চিন্তিত নই। অন্যদিকে মুশফিকের উপর চাপ কামাতে এরই মধ্যে তাকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন কি তার উইকেট কিপিংও ছাড়ার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ‘একটা মানুষের পক্ষে তিনটা জিনিস করা কষ্টকর। একটা হচ্ছে সারাদিন ধরে উইকেট কিপিং করা, তারপর ব্যাটিংয়ে লম্বা ইনিংস খেলা, মুশফিক যেহেতু আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। আমি বলবো সবচেয়ে ভাল ব্যাটসম্যান। তারপরও আবার ক্যাপ্টেন্সি করা। এটা একটা প্রেসার সেটা আমরা জানি। আমি পারসোনালি মনে করি উইকেট কিপিং যেহেতু করছে। উইকেট কিপিং করতে গিয়ে সে ইনজুরড হলে এটা তার ব্যাটিংয়েও প্রভাব ফেলছে। লাস্ট টেস্টে সে ঠিকমতো ব্যাট করতে পারে নাই। এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট লস। তবে আমাদের কাছে ওর ব্যাটিংটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্র্ণ। এটা মুশফিককেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে কোনটা ছাড়তে চায় কিংবা চায় না। পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় প্রথম টেস্টে উইকেট কিপিংয়ের সময় ইনজুরিতে পড়েন অধিনায়ক  মুশফিকুর রহীম। তবে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ড্র করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। প্রথম ইনিংসে ৬০০ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দেখে ৩২৭ রানের বড় হার।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর