যোগ্য ও সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান প্রতি আস্থাশীল হোন : প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রেখে উন্নয়নের ধারবাহিকতা রাখতে সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

ঢাকা সেনানিবাসে গতকাল ‘সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৮’-এ প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুসংহতকরণে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী, সেই কর্মকর্তাদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান ও মেজর জেনারেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আনন্দিত, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য ‘টেবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কমপারেটিভ ইভ্যালুয়েশনের (টিআরএসিই)’ মতো একটি আধুনিক পদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছে, যা পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ন প্রকাশ করে।

উপযুক্ত ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে যেকোনো বিজয় বা সাফল্য অর্জন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তা সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদের বিবেচনায় আনতে হবে। তাদের শিক্ষা, মনোভাব, সামাজিকতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিরীক্ষা করেই পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে উন্নত পেশাগত মান ও যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসারদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার সামর্থ্য আমাদের থাকতে হবে।

সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত একাধিক পদাতিক ডিভিশন, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন, প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড, এনডিসি, বিপসট, এএফএমসি, এমআইএসটি ও বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সিস্টেম ডিজিটাইজ করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর্মি ইনফরমেশন টেকনোলজি সাপোর্ট অর্গানাইজেশন (এআইটিএসও), আর্মি ডাটা সেন্টার ও কম্পিউটারাইজড ওয়ার গেম সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ অনেক আধুনিক যোগাযোগসামগ্রী ক্রয় করা হচ্ছে। সেনাসদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিতেও বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরে অংশ হিসেবে ট্রাস্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থাপনা, সেনা আবাসন প্রকল্প, সেনাসদস্যদের উন্নতমানের ও বর্ধিত স্কেলে রেশন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীতে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিএমএইচগুলোয় উন্নততর চিকিৎসা দানের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, নতুন ডিপার্টমেন্ট, মিলিটারি ডেন্টাল সেন্টার সংযোজন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। ঢাকা সিএমএইচে সংযোজিত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার সেন্টার ও ফার্টিলিটি সেন্টার। এখানে বেসামরিক রোগীদেরও স্বল্পমূল্যে আন্তর্জাতিক মানের ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা প্রদান সম্ভব হবে। বাসস।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর