আলোচিত ৭ খুন: না রাজীর রিভিউ পরবর্তী শুনানি ২০ অক্টোবর

রাষ্ট্রপক্ষের সময় প্রার্থনার পর এবার রিভিশনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের একটি মামলার বাদি নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটির নারাজী খারিজের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলার শুনানীর পরবর্তী দিন আগামী ২০ অক্টোবর ধার্য্য করেছেন আদালত।
বুধবার রিভিশনকারীর আইনজীবি এড. সাখাওয়াত হোসেন দেশের বাইরে থাকায় রিভিশন মামলার শুনানীর জন্য আদালতে সময় প্রার্থনা করেন মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি। তারপর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েতুর রহমান আগামী ২০ অক্টোবর রিভিশন মামলার পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।
এ ব্যাপারে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি এড. ফজলুর রহমান জানান, রিভিশন মামলার শুনানীর জন্য এদিন রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুত ছিল। কিন্তু রিভিশনকারী শুনানীর জন্য সময় প্রার্থনা করায় আদালত আগামী ২০ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ নির্ধারন করেন। এর আগে একই আদালতে ২১ জুলাই না রাজী রিভিশন পিটিশন দায়ের করেছিল বিউটি।
গত (৯ আগস্ট) শুনানীর দিন থাকলেও সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ সময় প্রার্থনা করায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এর আদালত ৩০ সেপ্টেম্বর শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।
গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশীটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতারকৃত আলীগ নেতা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বহিস্কৃত কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‌্যাবের চাকুরীচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩৫জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এজাহারভুক্ত ৫ আসামী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী হাজী ইয়াছিন মিয়া, ইকবাল, হাসমত আলী হাসু, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু ও শ্রমিক দল নেতা আনোয়ারকে।
এ ঘটনায় গত ১১ মে আদালতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশীটের বিরুদ্ধে না রাজী প্রদান করেন। পরে ৮ জুলাই শুনানীতে চার্জশীটের বিরুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের না রাজী আবেদন খারিজ করে দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
উল্লেখ্য আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম সহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় নূর হোসেন সহ ৬জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামী অজ্ঞাত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর