অমর বিপ্লবী রাজনীতিবিদ ওয়ালী নেওয়াজ খান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ওয়ালী নেওয়াজ খান ১৯০৪ সালে কিশোরগঞ্জ সদরের তারাপাশায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতামাতার নামে প্রতিষ্ঠা করেন আরজত আতরজান হাইস্কুল। হিন্দু-মুসলিম সমাজের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ যখন ব্রিটিশের তোষামদীতে ব্যস্ত তখন ওয়ালী নেওয়াজ খান যোগ দেন অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত অনুশীলন দলে।

ওয়ালী নেওয়াজ খান তখন ময়মনসিংহ শহরের এক স্কুলের ছাত্র। ছাত্ররা হরতাল আহবান করেছিলেন। স্কুলের ফটকে শুয়ে রয়েছেন তারা। তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. গ্রেহাম ছাত্রদের মাড়িয়ে স্কুলে ঢুকতে চান। সে সময়ে বিপ্লববাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ ছাত্রনেতা ওয়ালী নেওয়াজ খানের ধমনীর রক্ত গরম হয়ে ওঠে। তার পকেটে রাখা সেদিনের একটি ছোট চাকু নিয়ে তড়িৎ উঠে গিয়ে তা মি. গ্রেহাম সাহেবের দেহে বসিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে গেলেন। তখন তুমুল হৈ-চৈ শুরু হয়ে গেল। ধরি ধরি করেও পুলিশ ওয়ালী নেওয়াজ খানকে গ্রেপ্তার করতে পারল না। তিনি চলে এলেন কিশোরগঞ্জ শহরে।

কিন্তু পরবর্তীকালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় তৎপরতার জন্য তিনি বিভিন্ন মেয়াদে বহু বছর কারাবাস করেছেন। তিনি তেভাগা, টংকসহ অন্যান্য আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন। তৎকালীন মুসলিম সমাজে তার মত এত বড় বিপ্লবী নেতা আর কেউ হয়ে উঠেননি।

শেষ জীবনে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে মনোযোগী হয়েছিলেন। ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ এবং পিতামাতার নামে আরজত আতরজান হাইস্কুল এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার স্মৃতি ও কীর্তি বহন করছে। এই মহান বিপ্লববাদী রাজনীতিবিদ ২৫শে নভেম্বর ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর