হাওরে বাম্পার ফলনে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে

আগাম বন্যায় ২০১৭ সালে হাওরাঞ্চলের কৃষকরা এক মুঠো ধানও গোলায় তুলতে পারেননি। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে চোখের সামনে নষ্ট হয় তাদের বহু কষ্টের ফসল। কৃষক কেঁদেছে অঝোরে। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। গতবারের অাগাম বন্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পাউবোর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফসল নিয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের এই পরিশ্রমের সুবাধে এবার কৃষকরা বাম্পার ফলনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

হাওরের পাঁচ উপজেলায় ইতোমধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি শ্রমিকরা ধান কাটতে হাওরে এসে জড়ো হয়েছেন। হাওর ও নদীর পাড় ঘেঁষে অস্থায়ী ঘর (জিরাতি বা বাথান) নির্মাণ করে কৃষি শ্রমিকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছেন। চলছে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে মিঠামইনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ অাতাউর রাব্বী বলেন, গত অক্টোবরে যোগদানের পর থেকে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি শুধুমাত্র কৃষক যেন ফসল ঘর তুলতে পারে। আল্লাহর রহমতে আমাদের পরিশ্রমে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরাও ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছে।

এই ফসল তোলার জন্য এত পরিশ্রম, তাই নিজে ফসল কেটে কৃষকের হাতে তুলে দিয়ে তার এই পরিশ্রমকে সাথর্ক বলে মনে করছেন তিনি।

কৃষক হুমায়ন রশীদ বলেন, “গত বছর কোন ফসল ঘরে তুলতে পারি নাই। এবার আল্লাহর রহমতে ভালো ফসল হয়েছে। ফসল কেটে বাঁধ দিয়ে ঘরে তুলতে পারছি।”

জানা গেছে, এ বছর ২ লাখ ২২ হাজার ৭১৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ২১ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন। এখন বিচ্ছিন্নভাবে হাওরে ধান কাটা হয়েছে। পুরোদমে ধান কাটা শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর