রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকেই আস্থা হাওরবাসীর হৃদয়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর অধ্যুষিত তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। ২০১৩ সালের ৩রা জুলাই অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে অভিষিক্ত হন তিনি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক তাঁর মার্জিত ব্যবহার ও সদালাপি আচরণ দিয়ে ক্রমেই জিতে নেন হাওরবাসীর হৃদয়। উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মাত্র ছয় মাস আসে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তরুণ এই এমপি আবারও পান দলের টিকিট। টানা দু’বারের এই সংসদ সদস্য লাভ করেন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটিকে তিনি প্রতিশ্রুতি পূরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে নিয়ে হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনে মনোযোগী হন। হাওরে সূচিত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দিগন্ত।

রাষ্ট্রপতি পিতার ঐকান্তিক সহযোগিতায় এমপি তৌফিকের হাত ধরে বাস্তবায়িত হচ্ছে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের মতো একটি মেগা প্রকল্প। অসংখ্য ডুবো সড়কে হাওরে উন্মোচিত হয়েছে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত। একের পর এক ফসল রক্ষা বাঁধে এবার সুরক্ষা পেয়েছে হাওরের একমাত্র বোরো ফসল। হাওরের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত আজ হাওরের প্রত্যন্ত জনপদ। তিন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে নেয়া নানা পদক্ষেপে হাওরের শিক্ষাব্যবস্থায় লেগেছে দিনবদলের হাওয়া। এমনসব ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞে বদলে যাচ্ছে এক সময়ের অবহেলিত এই জনপদ।

হাওরের মানুষ আর প্রকৃতিকে ভালবেসে নিরন্তর ছুটে চলা রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক তাই সহজেই ঠাঁই করে নিয়েছেন হাওরের মানুষের মনের মণিকোঠায়। ফলে আগামী নির্বাচনেও তরুণ এই রাজনীতিবিদই হয়ে ওঠেছেন হাওরবাসীর শেষ ঠিকানা।

রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের এই আসন থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট। জনতার দেয়া উপাধি ‘ভাটির শার্দুল’ থেকে এই জননেতা হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রের অভিভাবক। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন হাওরের এই প্রাণপুরুষ।

প্রথম মেয়াদে ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট। ফলে তাঁর আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল দেয় নির্বাচন কমিশন। শূণ্য এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তৌফিক।

এই সময়ে নিজের কর্মদক্ষতা আর হাওরের মানুষের প্রতি দায়বোধের মাধ্যমে পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে হাওরের রাজনীতিতে স্বমহিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন। নিজেকে সকল লোভ, মোহ এবং বির্তকের ঊর্ধ্বে রেখে একালের রাজনীতিতে এক ব্যতিক্রমি চরিত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। হাওরের মানুষের মনের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়ে তিনি হয়ে ওঠেছেন জনতার তৌফিক।

সাদামাটা, নির্লোভ, নিরাবরণ জীবন নিয়ে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক যেন রাজনীতিতে তার পূর্বসূরী পিতা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদেরই উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্রপতি পিতার সততার রাজনীতির আর্দশকে লালন করে তিনি ক্লান্তিহীন ছুটে চলেছেন হাওরপাড়ের মানুষের কাছে। হাওরের ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু কোন অসততা কিংবা কোন বিতর্ক নম্র, বিনয়ী এই মানুষটিকে ছুঁতে পারেনি। মানুষের সেবক হওয়ার দীক্ষা নিয়ে খোলা বইয়ের মতোই তিনি তাঁর জীবন মানুষের সামনে উন্মুক্ত রেখেছেন। আজকের রাজনীতির সময়ে তিনি এক বিরল জনপ্রতিনিধি।

হাওরের লোকজনের মতে, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ব্যক্তি হিসেবে সৎ, নির্লোভ, নিরহংকারী, সহজ-সরল এবং সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। এছাড়া দলমত নির্বিশেষে সব মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অসাধারণ গুণ রয়েছে তাঁর। তাঁর রাজনীতিও গণমূখী। হাওরবাসীর জীবন সংগ্রাম, কষ্ট-বেদনা তাঁকে প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে যায়। তাদের দুঃখ-দুর্দশায় সব সময়ে বাড়ানো থাকে তাঁর পরম মমতার হাত। অসহায়ের সহায় হয়ে তিনি পাঁশে দাঁড়ান তাদের। যা হাওরে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শক্তিশালী গণভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

তারা জানিয়েছেন, হাওরের মানুষের একমাত্র অবলম্বন বোরো ফসল। গতবার চৈত্র মাসে পাহাড়ি ঢলে যখন হাওরের এই একমাত্র ফসল আক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হয়, তখনই রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক হাওরে ছুটে গিয়েছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ হাওরগুলো রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা হাওরবাসীকে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হার মানেন হাওরবাসী। তলিয়ে যায় একের পর এক হাওর।

আগাম বন্যায় সর্বশান্ত হাওরবাসীর দুঃসময়েও তিনিই ছিলেন পরমবান্ধব। খোদ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হয়েও রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক হাওরকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া দুর্গত হাওরবাসীকে বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর নানামুখী সহায়তায় হাওরে চলে ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম। হাওরবাসীর এই ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে সামিল হতে তিনি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে হাওরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অথচ হাওরবাসীর এই ঘোর দুর্দিনে আর কোন রাজনীতিবিদকে তারা পাশে পাননি। এছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে হাওরের ফসল রক্ষায় তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঝুঁকিপূর্ণ হাওরগুলোতে হয়েছে ফসলরক্ষা বাঁধ। ফলে এবার সুরক্ষা পেয়েছে হাওরের কৃষকের একমাত্র কষ্টফসল।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দু:খে, সমস্যার সমাধানে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন। আওয়ামী লীগকে তিনি হাওরের তিন উপজেলায় সাংগঠনিকভাবে সুসংসহ অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন। দলকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে হাওরের প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য তাঁর দরজা দিনরাত খোলা থাকে। নেতাকর্মীরা সরাসরি, যখন-তখন তার সঙ্গে দেখা করেন, টেলিফোনে কথা বলেন, সমস্যার কথা জানান। তিনিও মন দিয়ে শোনেন এবং নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান। এই কারণে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও ব্যাপক জনপ্রিয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর তাঁর শূণ্য আসনে ২০১৩ সালের ৩রা জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক উন্নয়নের ধারবাহিকতা রাখার অঙ্গীকার করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর দুই মেয়াদে গত প্রায় পাঁচ বছরে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে এলাকায় অবস্থান করে তাঁর সেই অঙ্গীকার পূরণ করার পথেই হেঁটে চলেছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এমপি তৌফিকের মতো এমন ভদ্র, বিনয়ী আর জনদরদী মানুষ খুবই বিরল। তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন, তাদেরকে যে মূল্যায়ন করেন ও সম্মান দেখান, তা অভাবনীয়। মানুষকে মূল্যায়ন ও সম্মান করেন বলে এমপি তৌফিকও মানুষের কাছ থেকে সমান সম্মান ও ভালবাসা পাচ্ছেন।

এসব প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের কণ্ঠে ঝরে পড়ে সেই সহজাত বিনয় আর ভাবাবেগ। বলেন, ‘হাওরবাসীর কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমি রাজনীতিতে এসেছি। তাদের উন্নয়ন আর সমৃদ্ধিই আমার স্বপ্ন। হাওরের মানুষকে নিয়ে আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারলেই, আমি ধন্য হবো। আমি চাই, হাওরবাসীর সঙ্গে আমার যে আজন্মের বন্ধন রয়েছে, সেই বন্ধন আমি যেন আমার কাজের মধ্য দিয়ে আমৃত্যু অটুট রাখতে পারি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর