১৫ গ্রামের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকোটি চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে আছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কলাপাড়ার ৩ ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন সেতু র্নিমানের দাবীর পরেও বাস্তব কোন উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা নিজেদের টাকায় বাশেঁর সাঁকোটি র্নিমাণ করেছেন। বছরে দু’বার চাঁদা তুলে সাঁকোটি মেরামত করা হয়। বর্তমানে সাঁকোটি চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে আছে। ফলে শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ ও গর্ববতী মায়েদের চরম ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড় হতে হয়।

উপজেলার ধুলাসার, ডাবলুগজ্ঞ এবং মহিপুর ইউনিয়নের মাঝখানে প্রবাহিত খাপড়াভাঙ্গা খালের ধুলাসর ইউনিয়নের তারিকাটা পয়েন্টে রয়েছে এ বাঁশের সাঁকোটি। ঝুকি নিয়েই এটি দিয়ে প্রতিদিন পারপার হচ্ছে তারিকাটা, নয়াকাটা, নয়াকাটা দিওর, বৌলতলীপাড়া, মুসলিমপাড়া, বেতকাটা, বেতকাটাপাড়া, সোনাপাড়া, পক্ষিয়াপাড়া, কাজিকান্দা, সুরডগি, বরকতিয়া, খাপড়াভাঙ্গা, মনসাতলী, খোচাউপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ’ মানুষ। এর ওপর পাড়ে রয়েছে নয়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারিকাটা দাখিল মাদ্রসা এবং দক্ষিন পাড়ে মিশ্রিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ, শিববাড়ীয়া ও লক্ষীবাজার।

স্থানীয়রা জানায়, বিভিন্ন মহলের কাছে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের আবেদনের পরও কোন কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় ২০০৫ সালে নিজের উদ্যোগ ও অর্থায়নে বাঁশের সাঁকোটি নির্মান করা হয়। কয়েক বছরের মধ্যে বাঁশ পঁচে সাকো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে আর মেরামত করা হয়নি। ২০১৪ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্ধের তিন টন চাল দিয়ে সাঁকোটির সংস্কার করা হয়। তবে বর্তমানে সাঁকোটি চরম ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে। ফলে সাঁকো পারাপারে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া পরিবহন ভোগান্তির কারনে ফসলের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক। বর্ষা মৌসুমে এ র্দুভোগ আরো চরম অকার ধারন করে। তারা ক্ষোভের সাথে আরও জানান, ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা এলাকার মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সেতু নির্মানে প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনোই তা আলোর মুখ দেখেনি।

নয়াকাটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নোয়াব আলী হাওলাদার জানান, এলাকার রাস্তাঘাট পাকা ও খাপড়াভাঙ্গা নদীতে ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এসব জনপদে। খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের ছ্ত্রা তানবীর বলেন, প্রতিদিন সাইকেল, বইপত্র নিয়ে এ সেতু পার হতে খুবই কষ্ট হয়। সাঁকোর অনেক জায়গা ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। মনসাতলী গ্রামের জামাল মৃধা জানান, উপজেলার এ তিনটি ইউনিয়ন বরাবরই অবহেলিত।

কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীরর মুক্তিযোদ্ধা আ. মোতালেব তালুকদার জানান, তিনি এটি পর্যবেক্ষন করেছেন এবং এখানে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ করার প্রস্তাব উপজেলা পরিষদের পরবর্তি প্রজেক্টে দিয়ে দিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর