করিমগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ মিছিল করেছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের গুজাদিয়া ইউনিয়নের টামনী আকন্দপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল বুধবার গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

জানা গেছে, করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের টামনি আকন্দপাড়ার কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরের সাথে এলাকার মানুষের মাদক ব্যবসা ও তার মেয়েদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য পুর্ব বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে গত ২৩ মার্চ একই গ্রামের লিটন মিয়া সহ ৫-৬ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে আবু তাহের ও তার পরিবার। এ নিয়ে গ্রামবাসী করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এছাড়াও গ্রামের একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে আবু তাহেরকে সভাপতি না করায় মসজিদের নামায-খুতবা বন্ধ করে দেয় এবং মসজিদের ইমাম ও ক্যাশিয়ারের নামে নারী নির্যাতন মামলা দেয়। যা ইতিমধ্যে করিমগঞ্জ থানা ঘটনার সত্যতা না পেয়ে  আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এসব ঘটনায় গ্রামের সাধারণ মানুষ অতীষ্ট হয়ে বুধবার বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইকবাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোমতাজ উদ্দিন সহ শতাধিক গ্রামবাসী।

মিছিল থেকে তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গত ২৩ মার্চ। কথিত মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ছেলেমেয়ে স্ত্রী ভাই সহ মোট ১২জনের উপর হামলা ও বাড়ী ঘর ভাংচুরের ঘটনা সঠিক নহে। ঐ দিন দুপুরে গ্রামের পাশ্ববর্তী লিটন মিয়া তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে লিটনকে পথরোধ করে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে লিটন মিয়া সহ ৫-৬ জনকে আহত করে।

তারা আরও বলেন, টামনি আকন্দপাড়ার শফিক ও মোজাম্মেল গংদের সাথে আবু তাহেরের পোলট্রির ফার্ম নিয়ে কোন বিরোধ নেই। ফার্মটি মুলত আকন্দপাড়ার আব্দুস সালামের থেকে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ জব্বার বন্ধকী নিয়ে পরিবেশ সম্মতভাবেই পরিচালনা করে আসছেন। কিন্ত আবু তাহের ও তার লোকজন ইর্ষান্বিত হয়ে ফার্মটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করেন। এমনকি আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার ৪৩১ জন মানুষের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

আবু তাহের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে এবং সাধারণ মানুষের জান মালের বিরাট ক্ষতি সাধন করে। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝিতে ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালী হতে জনৈক সামরিক কর্মকর্তার সনদ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করে আসছে। অথচ ঐ গ্রামের সতেরজন মুক্তিযোদ্ধা তার যুদ্ধে অংশ গ্রহণ নিয়ে কিছুই জানে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর