সাহাবাজপুর বিলে আবারো পুকুর খনন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুর্গাপুরে সাহাবাজপুরে বিলের মুখবন্ধ করে প্রায় ৮০ বিঘা জমি দখল করে দুইটি পুকুর খনন করছিল প্রভাবশালী বাদশা নামে একজন। তাতে ওই বিলের ১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা উপজেলা সহকারি কমিশনার বরাবরে অভিযোগ করেন।

পরে অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাহাবাজপুর বিলে অভিযান চালিয়ে বাদশার পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়। এবং পুকুকরখননের ৩টি ড্রেজার গাড়ি জব্দ করে ১জনকে আটক করে পুলিশ। এরপর কিছুদিন পুকুর খনন বন্ধ থাকলেও বাদশা কৃষকের ফসলি জমি নষ্ট করে আবারো পুকুর খনন করেছে। এতে ফসলি জমি জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা।

ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সাহাবাজপুর বিলে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর খনন কারী বাদশা সাহাবাজপুর বিলে প্রধান মুখবন্ধ করে প্রায় ৮০বিঘা জমি দখল করে প্রসাশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারো পুকুর খনন করছেন। তার এই পুকুর খনন হলে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১হাজার জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। সাধারণ কৃষকরা বাদশার কছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভেগীরা।

আব্দুল আলীম, শরিফুল, কায়েম আলীসহ কয়েকজন কৃষক জানান, প্রায় ৮০বিঘা আয়তনের এই দুইটি পুকুর খনন হলে পানবরজসহ বর্ষা মৌসুমে এলাকায় কোন ফসলি করা সম্ভব না। কৃষকরা ফসলি জমি বাঁচাতে পুকুর খননে বাধা দিতে গেলে বাদশার কাছে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। কোন ভাবেই তাদের তাদের ফসলি জমি রক্ষা করতে পারছেন না। পুকুর খননকারী বাদশা প্রথমে কয়েকজন দালালের কাছে থেকে কিছু জমি লিজ নেয়। পরে পুকুরের মধ্যের জমিগুলো কোন কৃষক না জানিয়েই জোরপূর্বক পুকুর খনন করতে থাকে। এসময় স্থানীয় লোকজন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে অভিযোগ করেন। পরে প্রসাশন অভিযোগ চালিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়।

এ সময় ৩টি ড্রেজার গাড়ি জব্দ করে ও ১জনকে আটক করে। তারপর কয়েক দিন পুকুর খনন বন্ধ থাকলেও তারা আবারো কৃষকের প্রায় ১হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতি করে পুকুর খনন করছেন বাদশা।

পুকুর খননকারী বাদশা জানান, উপজেলা প্রসাশন প্রথমে পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছিলো। তারপর আবাবো সহকারি কমিশনার (ভূমি) সমর কুমার পাল তাকে পুকুর খননের অনুমতি দিয়েছেন। তার অনুমতি নিয়ে আবারো পুকুর খনন করছি বলে জানান বাদশা।

জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সমর কুমার পাল জানান, আমি কাউকে পুকুর খননের অনুমতি দেই নি। বরং ফসলি জমি বাচাতে আমরা বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন বন্ধ করে দিচ্ছি। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। এর আগে বাদশার পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়া হয়ে ছিলো। এরপরও সে আবারো পুকুর খননের চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর