সরিষার আবাদ কম হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শেরপুর জেলায় গত বছরের তুলনায় এবার সরিষার আবাদ কম হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা সদরসহ ৫ উপজেলায় সরিষার আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি ও বাম্পার ফলন হয়েছে নকলা উপজেলায়।

দেখা যায়, সদর উপজেলা এবং নকলা উপজেলার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষা ক্ষেত। চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠে দু’চোখ যতদূর যায় ততদূর হলুদ আর হলুদ। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে গেছে গ্রামের পর গ্রাম।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আগাম জাতের আমন ধান উৎপাদন হয় এবং যেসব জমিতে পানি জমে থাকার কারণে সময় মতো আমনের আবাদ করা যায়নি সেসব জমিতে সরিষার আবাদ হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি।

এবার অতিবৃষ্টির কারণে জমিতে দীর্ঘ সময় পানি ছিলো। ফলে এবার সরিষার আবাদ একটু দেরিতে রোপণ করা হয়েছে। তবে ফলন হয়েছে আশানুরূপ।

উরফা গ্রামের কৃষক মনজু মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় প্রতি বছর সরিষার আবাদ বেশ ভালো হয়। একর প্রতি সরিষা আবাদে খরচ পড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। এক একরে সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ১২ থেকে ১৩ মণ। বাজার মূল্যে এর দাম পাওয়া যায় প্রায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া সরিষা আবাদ উঠে গেলে ওই জমিতে সরিষা গাছের আগাছা মাটিতে পড়ে প্রচুর জৈব সার তৈরি হয়। ফলে পরবর্তী বোরো আবাদে সারের পরিমাণ অনেক কম প্রয়োজন হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন জানান, জেলায় এবার ৪ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এবার অতিবৃষ্টির কারণে অনেক দেরিতে সরিষার আবাদ করা হয়। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে ফলন খুব ভালো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর