আড়ালে চলে যাচ্ছে সেই বাবুই পাখি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।’ কবির সেই কবিতাটি এখন কেবল বইয়ের পাতায়ই। কারণ বাবুই পাখিদের খুব একটা দেখা যায় না। তারা চলে যাচ্ছে চোখের আড়ালে।

দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে তাল ও খেজুর গাছ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আর তাল গাছ, খেজুর গাছ নেই তো বাবুই পাখিও যেন নেই। খড়কুটায় গড়া সেই বাসা তো দূরের কথা, এখন বাবুই পাখির দেখা মেলা ভার। প্রকৃতির বদল বা আবহাওয়ার প্রতিকূলে হোক কিংবা শিকারিদের অব্যাহত কালো থাবায় কিংবা কীটনাশকযুক্ত ফসল আজ বাবুইদের অস্থিত্ব হারিয়ে যেতে বসেছে।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ দেখা গেল হারিয়ে যাওয়া সেই বাবুই পাখির বাসা। নিপুণ কারিগর বাবুই পাখি বিভিন্ন ধরনের খড়-কুটার সমন্বয়ে গড়ে তুলেছে সেই কুঁড়ে ঘর। নিজের শিল্প নৈপুণ্যে গড়ে তোলা এসব বাসা যে কাউকেই বিমোহিত করবে। কারণ রোদ বৃষ্টি ঝড়েও নষ্ট হয় না তার নিখুঁত বুননে গড়ে তোলা এই কুড়ে ঘর। ধান আর গম বাবুই পাখির প্রধান খাদ্য।

পুরুষ বাবুই পাখির মাথার পেছনে রয়েছে চকচকে হলুদ রঙের পালক। আর পিঠে রয়েছে হলুদের টানা টানা দাগ। স্ত্রী পাখিদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। বুকের রং সাদা হলেও পিঠের পালকে হলুদ রং থাকে না। এই সুন্দর বাবুই পাখি প্রকৃতির কাছ থেকে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। অভায়রণ্য না থাকায় তাদের একদিন হয়তো আর দেখায় যাবে না। আর সেদিন হয়তো কবিরাও কোন কবিতা লিখবে না বাবুইদের নিয়ে। অথচ প্রকৃতিকে বাঁচাতে আগে এদের প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর