হাওর বার্তা ডেস্কঃ খালেদা জিয়ার রায় পরবর্তীতে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হবে। সামাজিক মর্যাদা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা তাকে তা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে এ রায়কে কেন্দ্র করে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেজা জিয়ার দুর্নীতির মামলাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচলনা করে বিজ্ঞ বিচারকগণ মতামত দিয়েছেন। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। আমি সারাদেশে খবর নিয়েছি জেলাগুলোতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কোথাও কোনো অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে দেশে কোথাও কোনো আতঙ্গ নেই। সব কিছুই স্বাভাকি চলছে।
তবে কেউ বিশৃংখলা, অরাজকতা করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সচল রয়েছে। কেউ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে। যেহেতু নির্বচন কমিশন তাদেরকে নিষিদ্ধ করেনি। তবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় কর্মসূচির নাম বিশৃংখলা করা সুযোগ দেয়া হবেনা।
তিনি বলেন, বেগম খালেজা জিয়া দুইবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বয়স্ক এবং একটি বড় দলের চেয়ারপার্শন হওয়ায় সামাজিক বিবেচনায় পুরান ঢাকার কারগারে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জেলকোড অনুযায়ী সকাল সুযোগ সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ, বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। অপর আসামি খালেদার জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ বাকিদের দেওয়া হয়েছে ১০ বছরের সাজা।