পরিযায়ী প্রজাতির ডোরা আবাবিল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চেহারা হিংস মনে হলেও আসলেই ওরা নিরীহ প্রকৃতির। কেবল আক্রান্ত হলে আক্রমণ করে। সেক্ষেত্রে খুব বেশি হলে ওদের পায়ের নখের খামচি বসিয়ে দেয়। দেখতে মন্দ নয়। স্লিম গড়নের। কণ্ঠস্বরও সুমধুর। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। প্রাকৃতিক আবাসস্থল পাহাড়ি অঞ্চল, নদ-নদী, গর্ত, জলাশয়, ধানক্ষেত কিংবা চাষাবাদ হয় অমন ক্ষেতের আশপাশ। অর্থাৎ পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গ আছে এমন স্থানে ওদের বিচরণ বেশি। পত্রপল্লবহীন ডালে বসতে পছন্দ করে। বিচরণ করে জোড়ায় কিংবা ছোট দলে। অন্যসব প্রজাতির আবাবিলের দলেও বিচরণ করে। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। বিশ্বে এদের অবস্থান সন্তোষজনক।

পাখির বাংলা নাম: ‘ডোরা আবাবিল’, ইংরেজি নাম: ‘স্ট্রিটেড সোয়ালো’ (Striated Swallow), বৈজ্ঞানিক নাম: Hirundo striolata। এরা ‘দাগি আবাবিল’ নামেও পরিচিত। গড় দৈর্ঘ্য ১৯ সেন্টিমিটার। গড় ওজন ২২ গ্রাম। কপাল, মাথা ও ঘাড় নীলচে কালো। ডানার প্রান্ত পালক। সুচালো চেরালেজ, রং কালো। কোমরে সাদা দাগ। দেহতল সাদার ওপর কালা খাড়া ডোরা। চোখের ওপর দিয়ে উজ্জ্বল বাদামি টান ঘাড়ের দিকে প্রসারিত হয়েছে। ঠোঁট খাটো কালো। পা ধূসর কালো।

প্রধান খাবার: উড়ন্ত কীটপতঙ্গ, যে কোনো ধরনের পোকামাকড়। প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুলাই। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। পুরনো সেতু কিংবা কালভার্টের কার্নিশে মাটি দিয়ে বাসা বাঁধে। বাসা দেখতে বাঁধাকপির মতো। ডিম পাড়ে ২-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৬-১৮ দিন।
লেখক: আলম শাইন, কথাসাহিত্যিক, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর