বীজতলা মরে যাওয়ায় কারণে বিপাকে কৃষক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলায় ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতে মরে যাচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। সূর্যের আলো না থাকায় চারা গজায়নি। আবার কোন কোন বীজতলায় দেখা দিয়েছে নানা রোগ-বালাই। ওষুধ ছিটিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বীজতলা। ঠিক সময়ে চারা সরবরাহ না করা হলে অনেক জমি এবার পতিত থাকবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭২ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এজন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ৩ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যপূরণে উচ্চ ফলনশীল জাতের বিআর-২৮, ২৯, ১৬ ও ৫৪, জিরাশাইল, মিনিকেট জাতের বীজ সরবরাহ করে বিএডিসি। এছাড়া হাইব্রিড জাতের এসিআই-১, ২, ৩, ৪, ৫, ধানীগোল্ড, হিরা-২, ৫, জাগরণ, ময়না, টিয়া, ধানী, এসএল-৮, তেজ জাতের বীজ নিয়ে বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা। কিন্তু প্রচণ্ড শীতে উন্নতজাতের বীজ রোপন করেও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার কাদোয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বারিক জানান, শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজ তলা নষ্টের পথে। দেখা দিয়েছে নানা প্রকার রোগ বালাই।

একই কথা জানিয়েছেন, আরেক কৃষক সাদেকুল ইসলাম। তিনি জানান, তার বীজতলায় দেখা দিয়েছে হলুদে ধরনের রোগ, যাতে কোন প্রকার ওষুধ ছিটিয়েও লাভ হচ্ছে না।

কালাই উপজেলার দেবখণ্ডা গ্রামের নূরুল মাস্টার ও বানদিঘী গ্রামের আনোয়ার জানান, এবার বোরো আবাদের জন্য হাইব্রিড ধানের বীজ জমিতে লাগিয়েছিলেন তারা। শীতের কারণে চারা গজায়নি।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায় জানান, বীজতলা ও চারা রক্ষায় জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদী তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর