টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফজরের নামাজের পর টঙ্গীর তুরাগ তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখর ইজতেমার ময়দান।

এর আগে সম্পন্ন কার হয়েছে ইজতেমার সব ধরনের প্রস্তুতি। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নেবেন দেশের ১৬টি জেলার মুসল্লিরা। এরইমধ্যে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরা। এছাড়া নির্ধারিত ১৬ জেলার মুসল্লিরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে আসতে থাকেন ইজতেমা ময়দানে।

ইজেতমায় আগম মুসল্লিরা জানান, ‘আল্লাহ ও রাসূলকে ভালভাবে চিনার জন্য এখানে এসেছি। এর সঙ্গে কীভাবে জান্নাতে যাওয়া যাবে, এবং জাহান্নাম থেকে কীভাবে জান্নাতে যাওয়া যায়, সেই দীক্ষা নেয়া জন্য এখানে এসেছি।

অন্য আরেক মুসল্লি জানান, ‘আমরা আল্লাহ দ্বীনকে কীভাবে মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেয়া যায়; সেটা বিষয়ে জানা। এছাড়াও পাঁচ ওয়াক্ত সহীহ ভাবে পড়ার জন্য মানুষকে দাওয়াতে কাজ করার জন্য এখানে এসেছি।’

১৬০ একরের মূল ময়দানকে এরই মধ্যে ঢেকে দেয়া হয়েছে সামিয়ানা দিয়ে। নিশ্চিত করা হয়েছে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ। র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আনোয়ার লতিফ খান বলেন, ‘আপনারা জানেন, ইজতেমার কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এজন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে র‌্যাব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সম্ভাব্য সব ঝুঁকি পর্যালোচনা করে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

বিশ্ব ইজতেমা ও আশেপাশের এলাকায় জল, স্থল ও আকাশপথ ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। পুরো এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার থেকে নাইট ভিশন বাইনোকুলার ব্যবহার করা হবে। ইজতেমাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল ভেতরে ও বাইরে পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে যে সব অতিথিরা আসছেন তাদের এলাকার ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হবে।

আগামী ১৯ তারিখ ২য় দফায় শুরু হয়ে ২১ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ জমায়েত।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর