হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েলের কাজিন বলা হয় সুকণ্ঠী পাখি শ্যামাকে। দু’জনেই একই ‘গণ’ (পরিবার) এর পাখি। বৈশিষ্ট্যেও আছে অনেক মিল। দু’জনের বৈজ্ঞানিক নামের সঙ্গেই যুক্ত ‘Copsychus’ শব্দটি।
আরেকটি বিষয় হলো, পাখিদের বৈজ্ঞানিক নামের দু’টি অংশ দু’টি বিষয় তুলে ধরে। যেমন, শ্যামা বৈজ্ঞানিক নামটি হলো Copsychus malabaricus। এখানে প্রথম অংশটি ‘কপসাইকাস’ হলো পাখির ‘গণ’ অর্থাৎ পরিবারের নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি ‘মালাবারিকাস’ হলো পাখিটির প্রজাতির নাম। এভাবেই ল্যাটিন শব্দের এ বৈজ্ঞানিক নাম দিয়ে পরিবার ও প্রজাতিকে খুব সহজে চেনা যায়।
দু’টি পাখির বিস্তৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির দোয়েল ও শ্যামা পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে মাত্র একটি প্রজাতির দোয়েল এবং একটি প্রজাতির শ্যামা পাওয়া যায়। দেশে যেহেতু একটাই প্রজাতির দোয়েল ও শ্যামা রয়েছে; তাই মুখে বলার সময় তাদের শুধু ‘দোয়েল’ এবং শুধু ‘শ্যামা’ বললেই চলে। কিন্তু লিখতে হলে পুরো নামটা বলতে হবে। আমরা সুস্পষ্টভাবে পাখি দু’টিকে আলাদাভাবে চেনার জন্য ইংরেজি নামের সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা নামকরণ করেছি ‘উদয়ী দোয়েল’ (Oriental Magpic Robin) এবং ‘ধলা-কোমর শ্যামা’ (White-ruped Shama)। বন-জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত, গ্রাম-শহরসহ দেশের সর্বত্র দোয়েল পাওয়া।