ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে আহ্বান : প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে পুলিশসহ সব শেণিপেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বেলা ১১টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ এ বক্তব্য কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চাই। এ জন্য পুলিশসহ সব শেণিপেশার মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। একজন সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম-বর্ণ ও গোত্র নাই। সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। আমরা ধর্মের নামে যেকোনো সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আর বিশেষ করে ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেখানে মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যাবে- এ ধরনের বিভ্রান্তি যারা পোষণ করে, তারা কখনোই বেহেশতে যাবে না। কাজেই ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, সেই শান্তি বজায় রাখা সবারই কর্তব্য।’ শেখ হাসিনা আরওবলেন, ‘কিন্তু অযথা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের পবিত্র ধর্মকে অনেকেই কলুষিত করছেন।’

জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের মাটিতে কোনো জঙ্গি-সন্ত্রাস বা যুদ্ধাপরাধীদের স্থান হবে না। আমরা চাই, বাংলাদেশের মাটি থেকে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হবে, বাংলাদেশ শান্তির দেশ হবে। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল করে আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে কারণেই আমরা এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা একেবারে গ্রাম বা তৃণমূল পর্যায় থেকে সব গোষ্ঠী, সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলে এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে আমরা বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে চাই।’

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী রাজারবাগ পুলিশলাইনস মাঠে পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন করেন। ‘জঙ্গি-মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’- এ স্লোগানে এবার ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ পালিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী সকালে বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১১টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এবারের পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৭১ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা’ এবং ৫৩ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা’ প্রদান করা হয়।

কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারের পাশাপাশি কাজের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর