জাতীয় পতাকা নিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিজয়ের চেতনাকে ধরে রাখতে নওগাঁর মহাদেবপুরে জাতীয় পতাকা বহন করে ডিংগি নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার আত্রাই নদীর শীবগঞ্জ ঘাটে ‘রেড ফ্রাইডে’ নামে একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (নওগাঁ-৩) ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম।
সাধারণত পানসি নৌকা (বড় নৌকা) দিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে ব্যতিক্রম উদ্যোগে এ ডিংগি নৌকা বাইচ। দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে ও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সুস্থ ধারার সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে আগামীতে এরকম ব্যতিক্রমী আয়োজন করার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
পরে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ‘রেড ফ্রাইডে’ পরিচালক হুসাইন মোহাম্মদ শাহিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউজ্জামান বদি, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ধলু, মহাদেবপুর থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম রসুল বাবু, অ্যাডভোকেট সামিউল নবী সামিম, উত্তরগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবিদ সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল রহমান মাসুদ, মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
স্থানীয় রেড ফ্রাইডে’র পরিচালক হুসাইন মোহাম্মদ শাহিন বলেন, বিজয়ের পতাকার প্রতি আমাদের গুরুত্ব কম। এজন্য অনেক কিছুর উন্নয়ন হচ্ছে না। ডিংগি বাইচ একটি উপলক্ষ্য। দেশের প্রতি সম্মান জানানোই মূল উদ্দেশ্য। দেশপ্রেমকে জাগ্রত করতে ডিংগি বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিপূর্বে মাদকবিরোধী সমাবেশ করা হয়েছে।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম বলেন, বিজয়ের মাস। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বুঝতে পারে বিজয় মাসের গুরুত্ব। লাল সবুজের পতাকার গুরুত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আগামীতে এ নৌকা বাইচের ধারা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
প্রতিযোগিতায় কয়েকটি গ্রামের অর্ধশতাধিক নৌকা অংশ নেয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে একটি করে মুঠোফোন ও প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীদের একটি করে শীতবস্ত্র কম্বল উপহার দেয়া হয়। নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দু’পাড়ে হাজরো নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরে সমাগম হয়। এদিকে এই প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে স্থানীয় ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর