শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল উপকারিতা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুগের পর যুগ ধরে অ্যালোভেরা গাছ ‘অমরত্বের প্রতীক’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ গাছের বেড়ে উঠতে একদম অল্প পানি প্রয়োজ়ন হয় কিন্তু উপকারিতার দিক থেকে এর কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, পরিপাকযন্ত্র শুদ্ধ করা থেকে শুরু করে ত্বকের এমন কোনো সমস্যা নেই যা অ্যালোভেরার মাধ্যমে দূর করা যায় না। শুধু তৈলাক্ত ও স্বাভাবিক ত্বক নয়, শুষ্ক ত্বকের যত্নেও অ্যালোভেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর, মসৃণ ও মোলায়েম করে তোলে। আরো কিছু উপকারিতা হলো:

ময়েশ্চারাইজার হিসেবে
অ্যালোভেরাতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল উপাদান আছে যার দরুণ অ্যালোভেরা জেল শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে খুব দারুণভাবে সারিয়ে তোলে। এছাড়া এ জেলের আরো আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, এনজাইম এবং মিনারেল যা ত্বককে দীর্ঘসময় কোমল ও মোলায়েম রাখে। যদিও এই জেলটি একটু আঠালো তবুও ত্বকে লাগালে মোটেও আঠালো ভাবটা থাকে না। ত্বকের যাবতীয় কাটাছেঁড়া, প্রদাহ, ব্রণ এবং পোড়াভাব দূর করতে আ্যলোভেরা জেল ভীষণ কার্যকরী।

ত্বক উজ্জ্বল করতে
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগান। এতে করে ধীরে ধীরে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হতে শুরু করবে। টক দইয়ে ল্যাকটিক এসিড থাকে যার মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বককে দারুণভাবে প্রাণবন্ত করে তোলে। টক দই দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকের অবাঞ্চিত দাগ এবং রোমকূপ দারুণভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়।

প্রাকৃতিক ক্লিনজার
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে শশার রস মিশিয়ে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শশাতে ঠাণ্ডা এক ধরনের উপাদান আছে যা পেট এবং ত্বক উভয়ই পরিষ্কার রাখে। এর মাধ্যমে ত্বক লাবণ্যময়, সতেজ ও সুস্থ হয়ে ওঠে।

নিত্যদিনের স্ক্রাব
অ্যালোভেরার সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে মিহি একটি স্ক্রাব তৈরি করুন। ওটমিল ত্বকের মৃত কোষ দূর করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপাদেয় একটি উপাদান। এটি ব্যবহারে আপনার ত্বকের কোনো ক্ষতি তো হবেই না বরং আলতোভাবে

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর