সব শুনার পর নেত্রী আমাকে আ.লীগে যোগ দিতে বলেন

কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে পরামর্শ দিয়েছেন উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও তখনকার সেনাপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে আবারও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এখন তা চলছে দলের ভেতরেই। একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ।

দলীয় ফোরামের বদলে জনসম্মুখে এমন অভিযোগ করায় শেখ সেলিমের তীব্র সমালোচনা করেছেন কে এম শফিউল্লাহ। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় আমার ভূমিকা নিয়ে শেখ সেলিমই সমালোচনা করেছেন অন্য কেউ এ নিয়ে কিছু বলেননি। সবাই জানে সে দিন কি হয়েছিল। এসব আলোচনা দলীয় ফোরামে হওয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি নেত্রী সবাইকে ডেকে আমাকে সামনে রেখে কথাগুলো বলে যা করা উচিত ছিল তা করতো। বর্তমানে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধানের তা বাইরে প্রকাশ পেত না।

তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর বিপথগামীদের ঠেকানোর কোন উপায় তার ছিলো না। সেনাপ্রধান হিসেবে তার কোন ব্যর্থতা ছিল না। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় নেত্রীর কার্যালয়ে নেত্রীর সাথে এই বিষয়ে ৩-৪ ঘন্টা কথা হয়। সব শুনার পরে নেত্রী আর কিছু না বলে আমাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বলে।’ সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর