মুলার কেজি ৭০ টাকা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃহত্তর বগুড়া অঞ্চলের সবজির অন্যতম পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থানহাটে এবার উল্টো চিত্র। শীতকাল চলে এলেও হাটে খুব বেশি বাড়ছে না শীতকালীন সবজির সরবরাহ।

উল্টো শীত যত ঘনিয়ে আসছে শীতকালীন সবজির দাম ততই বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মহাস্থানহাটে পাইকারি পর্যায়ে বেশ কিছু শীতকালীন সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর খুচরা বাজারে এসব সবজি আবার কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আজ মহাস্থানহাটে প্রতি কেজি হাইব্রিড করলা পাইকারি পর্যায়ে কেনাবেচা হয়েছে ৪৫ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি করলার দাম ছিল ২৫ টাকা। এক হাত বদলের পর বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে এই করলা গতকাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়।

অন্যদিকে, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি হাইব্রিড মুলা এই হাটে কেনাবেচা হয়েছে ২৫ টাকা কেজিতে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে গতকাল পাইকারি পর্যায়ে তা ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর এক হাত বদলের পর শহরের ফতেহ আলী বাজারে এসে এই মুলার দাম হয়ে যায় ৭০ টাকা কেজি।

এক সপ্তাহ আগে মহাস্থানহাটে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ টাকা। সপ্তাহ শেষে এই কাঁচা মরিচ কেনাবেচা হয়েছে প্রতি কেজি ৯০ টাকায়। আর ফতেহ আলী বাজারে গতকাল প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মহাস্থানহাটে প্রতি কেজি শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

সপ্তাহ শেষেও এই শসার দাম একই রয়ে গেছে। তবে বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে গতকাল প্রতি কেজি শসার দাম ছিল ৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপি কেজিতে ১৫ টাকা কমে গতকাল মহাস্থানহাটে পাইকারি পর্যায়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে এই দুই পদের সবজির দাম ছিল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা। তবে বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রায় দ্বিগুণ বেশি দামে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়।

পাইকারি বাজারে এখনও উত্তাপ কমেনি শীতকালীন শিমের দামে। এক সপ্তাহ আগে মহাস্থানহাটে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। গতকাল আরও ২০ টাকা বেড়ে তা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। মহাস্থানহাটে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পটোলের দাম ২০ টাকা বেড়েছে।

গত সপ্তাহে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পটোলের দাম ছিল ৩০ টাকা। গতকাল এই হাটে প্রতি কেজি পটোল ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আর বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি পটোলের দাম ছিল ৬০ টাকা।

মহাস্থান কাঁচা ও পাকা মাল আড়ত ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, অন্য বছর শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যেত। ফলে কমে যেত সবজির দামও। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র। শীতকাল উঁকি দিলেও বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ খুব একটা বাড়ছে না। ফলে দাম কমে যাওয়ার বদলে উল্টো বাড়ছে, যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রতুল চন্দ্র সরকার বলেন, এই মৌসুমে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। তবে বেশি অতিবৃষ্টির কারণে এবার শীতকালীন সবজির চাষ বিলম্বিত হওয়ায় দেরিতে বাজারে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর