আজ ৬৩ তম সিপিএ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ভাইস প্যাট্রন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রবিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সিপিএর ৬৩ তম সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সিপিএ নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও সিপিএ সদর দপ্তর যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

এবারের সিপিএ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘সংসদ সদস্যদের উচ্চ কর্মক্ষমতা বাড়ানো অব্যাহত রাখা’। ৬৩তম সিপিএ সম্মেলনের প্রথম পর্ব ১ নভেম্বর থেকে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে শুরু হয়েছে। সেখানে সিপিএ’র স্মল ব্রাঞ্চ ও ওমেন পার্লামেন্টারিয়ানদের স্টিয়ারিং কমিটিসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বিতীয় মূল পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সেখানে নির্বাহী কমিটির সভায় প্রথম পর্বের গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হবে বলে সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান।

তিনি জানান, আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে সিপিএ সম্মেলনে আগত কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত এ ব্রিফিং চলবে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের যা কিছু জানার তা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সময় জানাবেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, এ সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য সিপিএর নতুন চেয়ারপারসন নির্বাচিত হবেন। তিনি বলেন, সিপিএর ৫২টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪টি দেশের প্রতিনিধি এসে পৌঁছেছেন।

সিপিএর চিফ প্যান্ট্রন ও বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ সম্মেলন উপলক্ষে বাণী পাঠাবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই বাণী পড়ে শোনাবেন সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

৬৩তম সিপিএ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএর ৬৩তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত ছয় শতাধিক বিদেশি অতিথিদের কাছে একখণ্ড বাংলাদেশকে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরা হবে।

সম্মেলন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ও এর আশপাশ এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তজার্তিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ সম্মেলনের খবর সংগ্রহের জন্য প্রায় তিনশ সাংবাদিকের জন্য পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী অনেক সাংবাদিকও সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহ করছেন।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাণী এলিজাবেথের বাণী পড়ার পরই ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে একটি পরিবেশনা থাকবে। এরপর সিম্পনি অব ডেমোক্রেসি নামে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হবে। এ পরিবেশনার পর দেখানো হবে সিপিএর কর্মকাণ্ড ও গুরুত্ব। এরপর বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধি বিষয়ক পরিবেশনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী ভাষণ দিয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করবেন। সূত্র: বাসস।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর