রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ সেশন থাকবে কমনওয়েলথ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৬৩ তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৫ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বিশেষ সেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বাংলাদেশ ডেলিগেশনের প্রধান মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
তিনি জানান, কনফারেন্সে বিশ্বব্যাপী কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি রাষ্ট্র্রের ১৮০টি কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন সভার স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ ৬৫২জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। কনফারেন্সে বাংলাদেশের ৪০জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। কমনওয়েলথভূক্ত দেশের সংসদ সদস্যদের এ বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের জানানো হবে। এজন্য একটি সেশন অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
১ থেকে ৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স। কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করবেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী ও সিপিসি’র ভাইস প্যাট্রন শেখ হাসিনা আগামী ৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন।
সিপিএ’র চিফ প্যাট্রন ও বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ কনফারেন্স উপলক্ষে বাণী পাঠাবেন। ওই বাণী পড়ে শোনাবেন সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন সেশন শুরু হবে। এর আগে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে ২ নভেম্বর থেকে কয়েকটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত ৬ শতাধিক বিদেশি অতিথিদের কাছে একখণ্ড বাংলাদেশকে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরা হবে বলে ডেপুটি স্পিকার জানান।
কনফারেন্স উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ও এর আশপাশ এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে। লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তজার্তিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ সম্মেলনের খবর সংগ্রহের জন্য প্রায় ৩শ’ সাংবাদিকের জন্য পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি অনেক সাংবাদিকও কনফারেন্সের সংবাদ সংগ্রহ করবেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাণী এলিজাবেথের বাণী পড়ার পরই ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে একটি পরিবেশনা থাকবে। এরপর সিম্পনি অব ডেমোক্রেসি নামে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হবে। এ পরিবেশনার পর দেখানো হবে সিপিএ’র কর্মকাণ্ড ও গুরুত্ব। এরপর বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধি বিষয়ক পরিবেশনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করবেন। বাসস
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর