আমনের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি ধানক্ষেতে বাতাসে দুলছে পাকা ধানের শীষ। মাঠে মাঠে রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু করেছে কৃষকরা। তাই কৃষকের মুখে ফুটছে উজ্জ্বল হাসি।

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ধানক্ষেতে ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ও মজুররা দলবদ্ধভাবে জমিতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ উৎফুল্লতার সঙ্গে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ১৭৪ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় শুরুতে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও বন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে ২৩ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনা বেশি।

সাতনালা গ্রামের ধান চাষী সামাদ বলেন, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় অন্যান্য জাতের তুলনায় কাটারি ধানও ভালো চাষ হয়েছে। এজন্য কাটারি ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে মাঠ। একই কথা বলেন আলোকডিহি গ্রামের ধান চাষী নুরজ্জামানও।

নশরতপুর ইউনিয়নের মাঠে ধান কাটার সময় নালীপাড়া গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিনি স্বর্ণা-মামুনসহ এই জাতের ধান বিঘাপ্রতি ২৩ থেকে ২৫ মণ করে পাচ্ছেন। আর বাজারে বর্তমানে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে আটশ টাকা দরে। তিনি আরো জানান, ধানের এমন দাম পাওয়া গেলে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার সর্বত্রই কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল মাড়াইয়ের কাজ ঠিকভাবে করতে পারলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর