মাল্টার চাষ করে পাহাড়িদের ভাগ্যবদল গেল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুস্বাদু ফল মাল্টা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটির উৎপাদন সারাদেশে উল্লেখযোগ্য না হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের অনুকূল জলবায়ু  ও আবহাওয়ায় দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

মাল্টার বাণিজ্যিক চাষে ভাগ্যও বদলে গেছে পাহাড়ের অনেক বেকার যুবকের। মিষ্টি জাতের দেশি বারি মাল্টায় বাজার ভরে ওঠায় এবার জায়গা করে নিতে পারেনি বিদেশি মাল্টাও।

কৃষিবিদরা জানিয়েছেন, মিষ্টি কমলার উন্নত এ জাতের নাম বারি মাল্টা-১। ২০০৬ সালে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরাই এ জাতটি উদ্ভাবন করেছিলেন।

মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় এ ফলটি এই অঞ্চলে খুবই সম্ভাবনাময়। রোগ-বালাই ও ঝরেপড়া কম এবং উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকদের কাছেও বাণিজ্যিক চাহিদা বেড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে এর চাষাবাদও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ির সব উপজেলায় মাল্টার চাষাবাদ করেছেন বহু সাধারণ কৃষক। ঘরের আঙ্গিনায়ও চাষ হচ্ছে। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে মাল্টা হার্বেস্টের উপযুক্ত সময় হলেও পাহাড়ে দুই সপ্তাহ আগেই উত্তোলন শুরু হয়েছে।

এ বছর বাণিজ্যিকভাবে মাল্টার বাগান করে লাভের মুখ দেখেছেন অনেকে। নিটোল চাকমা ও বাবু মারমার মতো শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন।

মাল্টাচাষি নিটোল চাকমা বলেন, ‘চাকরির জন্য অনেক ঘোরাঘুরি করেও পেলাম না। পরে মাল্টা ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেমে পড়ি। এখন আমি বেশ লাভবান। বাগানে আরো দু’জনকে চাকরিও দিয়েছি’।

বাবু মারমা বলেন, ‘গতবার আমি প্রায় ৭০ হাজার টাকার মাল্টা ফল বিক্রি করি। এবার ফলন ও দাম দুটোই ভালো থাকায় আশা করছি, দেড় লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবো’।

এ বছর খাগড়াছড়িতে অন্তত ২৮৪ হেক্টর জমিতে মাল্টার বাণিজ্যিক বাগান গড়ে উঠেছে। এছাড়া কৃষি বিভাগের সাইট্রাস প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২০০ জনকে বাগান আর ৭৫০ জনের মাঝে মাল্টার চারা বিতরণ করা হয়। ফলে বাজার ছেয়ে গেছে বারি

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর