১৬ সর্বোচ্চ ফলন দিয়েছে আমন মৌসুমে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত নতুন জাতের স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনা ধান ১৬ সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে আমন মৌসুমে।

প্রতি হেক্টরে এ জাতের ধানের অন্তত ৫.৯৭ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র জানিয়েছে, এ বছর এ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে ৩০ একর জমিতে ৭৫টি প্রদর্শনী প্লটে এ ধানের আবাদ করা হয়। স্বল্প মেয়াদ সম্পন্ন এ জাতের ধান রোপনের একশ দিনের মাথায় কাটা হয়। মাঠ দিবসে এসব প্রদর্শনী প্লটের ধান কেটে পরিমাপ করে প্রতি হেক্টরে ৫.৯৭ টন ফলন পাওয়া গেছে।

কাশিয়ানী উপজেলার পশ্চিম মাঝিগাতী গ্রামের কৃষক খোন্দকার সিদ্দিক বলেন, প্রচলতি আমনে রোগবালাই হয়। কিন্তু বিনা-১৬ জাতের ধানে কোনো রোগ বালাই নেই। ধানের ফলন দেখে আমাদের এ ব্লকের কৃষকরা আগামীতে এ ধানের আবাদ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেফাউর রহমান বলেন, বিনার এসআরএসডি প্রকল্পের অর্থায়নে, গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে ও কৃষি সম্প্রসারণের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে বিনা-১৬ জাতের ধান আবাদ করে কৃষক আমন মৌসুমে প্রচলিত ধানের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ফলন পেয়েছেন। এতে কৃষক লাভবান হয়েছেন। এ ধানের জীবনকাল স্বল্প। স্বল্প মেয়াদকালের ধান কম ফলন পাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রায়েলে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসার বলেন, স্বল্প মেয়াদকালের বিনা-১৬ ধান আবাদ করে কৃষক একই জমিতে বছরে অন্তত তিনটি ফসল ফলাতে পারবেন, যা কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে ভূমিকা রাখবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর