মূল্যস্ফীতির হার বৃষ্টি-বন্যায় চড়া

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারা দেশে বন্যা-অতিবৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি সড়ক অবকাঠামো বেহাল হওয়ার কারণে সারা দেশে পণ্য সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটে। এর প্রভাবে চড়া হয়েছে মূল্যস্ফীতির হার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দগ্ধজাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর মূল্য বিবেচনা করে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, গত বছরের একই সময়ে যা ছিলো ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে মিট দ্য প্রেসে বিবিএস এর দেওয়া অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য প্রকাশ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৃষ্টি-বন্যার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এক দিকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা হয়েছে যে কারণে সঠিকভাবে পণ্য সরবরাহ হয়নি। তবে এখন বৃষ্টি-বন্যা কমেছে আবারও স্বাভাবিক হবে মূল্যস্ফীতির হার।’

তবে জ্বালানি ও আলো, প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়েছে।

গ্রামীণ পর্যায়েও মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। চলতি বছরের প্রথম কোয়ার্টারে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, গত বছরে যা ছিল ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

তবে শহরে কমেছে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার। শহর পর্যায়ে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, গত বছরের প্রথম কোয়ার্টারে যা ছিল ৭ দশমিক ১২ শতাংশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর