বাড্ডায় ট্রিপল মার্ডার, কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৮ জন

ঝুট ব্যবসা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় ট্রিপল মার্ডার সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম। ট্রিপল মার্ডারে ৮ জন অংশ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সোমবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন ফারুক মিলন ও নূর মোহাম্মদ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রোববার রাতে বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারুক মিলন ও নূর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানান, মুল টার্গেট ছিল মাহবুবুর রহমান গামা। এ খুনের মূল পরিকল্পণাকারী ছিলেন ফারুক মিলন এবং খুনের নেতৃত্ব দেন নূর মোহাম্মদ। কিলিং মিশনে অংশ নেয়া বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তাদের পরিচয়ও জানা গেছে। আশাকরি খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা যাবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড্ডার আদর্শনগর পাম্পের কাছে হামলা চালিয়ে ঢাকা মহানগর (উত্তর) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামসু মোল্লা এবং উত্তর বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ আহমেদ মানিককে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গামার বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মধ্যবাড্ডার আদর্শনগর পানির পাম্পে বসে আলোচনার সময় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান গামা এবং তার সঙ্গে থাকা ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামসু মোল্লা ও স্থানীয় ক্লিনিকের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ মানিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরদিন গামাও মারা যান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর