৪ জেলার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ ভাসছে উত্তরাঞ্চল, আরো ১২ মৃত্যু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে ২০ জেলার বিভিন্ন উপজেলা। গতকাল সোমবারও বন্যার পানিতে ডুবে তিন জেলায় পাঁচ শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে থাকায় এখনো চার জেলার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপত্সীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

গত রবিবার তিন জেলায় বন্যায় ডুবে শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়। শনিবার থেকে গত তিন দিনে বন্যায় নারী, শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে ১৫ জন; এর পরই রয়েছে কুড়িগ্রামে ১২ জন ও লালমনিরহাটে পাঁচজন।

পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সর্বশেষ গত রবিবার রাতে কুড়িগ্রামের টগরাইহাট এলাকায় রেলের

সেতু ভেঙে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, পানি সরে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন সংস্কার করতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগবে।

কবলিত এলাকায় হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আসন্ন জেএসসি পরীক্ষার খাতা ও এসএসসি পরীক্ষার সিট পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবারের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা (পুরান সিলেবাস) স্থগিত করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, ‘বন্যায় সারা দেশে মারা গেছে ২০ জন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ছয় লাখ মানুষ। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি মধ্যাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে নেমে যাবে। ফলে ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ আরো ৯টি জেলায় বন্যার আশঙ্কা আছে। ’

এদিকে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী বন্যাকবলিত গ্রাম ঘুরে দেখবেন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে আখাউড়ার ইউএনও জানিয়েছেন। অন্যদিকে গতকাল সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীর ক্ষতিগ্রস্ত শহর রক্ষা বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবারও বৃষ্টি হবে, সেই সঙ্গে নদ-নদীর পানি বাড়বে। রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগর চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য জেলা ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হবে বেশি। এই দুই বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। বিস্তারিত আমাদের আঞ্চলিক অফিস, নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :

তিন জেলায় পাঁচ শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু : গতকাল কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে তিন শিশুসহ আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে আরো দুজন নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই নিয়ে কুড়িগ্রামে গত তিন দিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে। গতকালের নিহতরা হলো ফুলবাড়ী উপজেলার ঘোগারকুটি এলাকার হালিমা বেগম (৩৫), ভাঙ্গামোড় নজরমামুদ গ্রামের আজাহার আলী (৭০), নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জের আব্দুল করিম ওরফে মনসুর (১৪), ফান্দেরচর জামাল গ্রামের ফুলবানু (৩১), ভূরুঙ্গামারীর দেওয়ানের খামার এলাকার মজিবর রহমান (১৮) ও উলিপুরের বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বানভাসা রহমান (৬৫), রাজীবপুরে নাওশালা চরাঞ্চলে লাল চান (৪)।

নিখোঁজ দুজনের ব্যাপারে রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বুলু জানান, গত শনিবার রাতে কালুয়ারচর ওয়াপদা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সময় রিফাত (১০) ও লোকমানের স্ত্রী (৩২) পানির তোড়ে ভেসে গেছেন। এখন পর্যন্ত তাঁদের লাশ পাওয়া যায়নি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নে পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো মোজাম্মেল (৪০) ও তাঁর ছেলে আলীম (১০), আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল মোতালেব (১৫) এবং রবিউল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম (২৬)। গত রবিবার রাতে পূর্ব বড়ুরা গ্রামে ভেলাডুবির ঘটনায় তারা নিখোঁজ হয়েছিল। তারা বাড়ি থেকে ভেলায় চড়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছিল।

দিনাজপুরের বিরলের বাসুয়াপাড়ায় পাঁচ বছরের একটি শিশু মাচা থেকে পানিতে পড়ে মারা গেছে। এ নিয়ে শনিবার থেকে গত তিন দিনে দিনাজপুরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।

রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন : পার্বতীপুর-দিনাজপুর, পঞ্চগড়, বিরল রেলপথে ট্রেন চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের টগরাইহাট এলাকার বড় পুলেরপাড়সংলগ্ন রেলের সেতু ভেঙে গেছে। ফলে কুড়িগ্রামের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন সংস্কারকাজ শেষ হতে প্রায় ১৫ দিন লাগবে। এ সময়ের আগে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে না।

পশ্চিম রেলের লালমনিরহাট বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের নয়নী বুরুজ, চিরিরবন্দর ও কাঞ্চন স্টেশনের কাছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ পানিতে ডুবে যাওয়ায় ওই সব রুটে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর রেললাইন মেরামত করা হলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে। ’

ভাসছে ২০ জেলার বিভিন্ন উপজেলা : কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সদরের কাঁঠালবাড়ীর বাংটুরঘা, রাজারহাটের কালুয়া ও ফুলবাড়ীর গোড়কমণ্ডল এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। নতুন করে আরো ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এবং এর ওপর পানি ওঠায় জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রৌমারী ও রাজীবপুরে খাদ্যগুদাম চত্বরে হাঁটু পর্যন্ত পানি রয়েছে। আর একটু পানি বাড়লে খাদ্যগুদামের ভেতর পানি ঢুকবে।

নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর বাঁধের আটটি পয়েন্ট ভেঙে গেছে। শহরের ডিগ্রির মোড়, বিহারি কলোনি, উকিলপাড়া, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন, পুরাতন কোর্ট এলাকা, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সুপারিপট্টি, কালীতলা, পার নওগাঁ এলাকা এক থেকে দেড় ফুট পানির নিচে। শেরপুরে মৃগী নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। তবে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

রাজবাড়ীতে পদ্মায় প্রচণ্ড ঘূর্ণিস্রোতে ফেরিঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্রোতের কারণে ইতিমধ্যে পাংশা জেলার হাবাসপুর, কালুখালীর রতনদিয়া, জেলা সদরের মিজানপুর ও বরাট ইউনিয়নে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে অন্তত দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গতকালও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আসন্ন জেএসসি পরীক্ষার খাতা ও এসএসসি পরীক্ষার সিট পানিতে ডুবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বগুড়ায় যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বাড়ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল দুপুরে পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জামালপুরে যমুনা তীরবর্তী অন্তত ১০টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ১২ পয়েন্টের রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও দোকানপাট প্লাবিত হয়েছে। সীতাকুণ্ডে উপকূলীয় ৯টি ইউনিয়নের পানি আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা কমলেও পানির তোড়ে বিভিন্ন সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়ায় নিতাই নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁচটি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

ডিগ্রি পরীক্ষা স্থগিত : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবারের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা (পুরান সিলেবাস) স্থগিত করা হয়েছে। দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই দুই দিনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে স্থগিত এই পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। তবে এ পরীক্ষার অন্যান্য তারিখ ও সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

আজও বৃষ্টি হবে : সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কয়েক দিন ধরে চলতে থাকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে আজ মঙ্গলবারও। রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগর চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। তবে পার্বত্য জেলা ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাত হবে বেশি। তাই এই দুই বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরো বাড়বে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ : গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৯০টি পয়েন্টের মধ্যে ২৭টি পয়েন্টে নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চলতি বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিসহ ২০ জেলার ৩৫৬টি উপজেলায় ৩৫৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলায় ইতিমধ্যে ৯৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে তিন লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৬ জন আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বন্যা মোকাবেলায় আমরা ঘরে বসে নেই। জেলা প্রশাসকদের বলেছি, একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাদের চাহিদামতো প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং আমাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ’

দুর্গতদের সাহায্যে আরো সেনা মোতায়েন : গতকাল সকালে গাইবান্ধা সদরের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে সেখানকার বাঁধ পুনর্নির্মাণে সেনাবাহিনীর তিন প্লাটুন সদস্য পাঁচটি স্পিডবোট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্ধারসামগ্রীসহ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৯ পদাতিক ডিভিশন থেকে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষক দল গতকাল সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যাদুর্গত এলাকা কাজিরপুর উপজেলার বাহুকায় পৌঁছায় এবং দুর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে।

আইএসপিআর এ তথ্যসহ জানায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে যেকোনো সময় সেনাবাহিনীর আরো সদস্য বন্যাদুর্গত এলাকায় দ্রুততম সময়ে দুর্গতদের উদ্ধার ও বাঁধ রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর