দেশে নদ-নদীর ৮১ স্থানে পানি বাড়ছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৮১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, হ্রাস পেয়েছে ছয়টি এবং দুটি পয়েন্টের পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। একটি পয়েন্টের তথ্য পাওয়া যায়নি।

দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৯০টি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ করে শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, ১৭ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সময় ১৬টি পয়েন্টে ১০০ মিলি লিটার (মিলি) এবং ৩৮টি পয়েন্টে ৫০ মিলির ওপর বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা ও গঙ্গা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ২০৫ মিলি, দিনাজপুরে ১৮৭ মিলি এবং ময়মনসিংহে ১৮২ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় মনু নদীর মনু রেলওয়ে ব্রিজের পয়েন্টে ৩৬৮ সেমি, খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে ২২১ সেমি, খোয়াই নদীর হবিগঞ্জ পয়েন্টে ৪৭০ সেমি, ধলাই নদীর কমলগঞ্জ পয়েন্টে ২৭৮ সেমি এবং ভুগাই নদীর নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে ৩২০ সেমি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর মধ্যে হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ২১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে শুক্রবার রাত থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল থেকে শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খোয়াই নদীর পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম জানান, খোয়াই নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতে। বাংলাদেশে শুক্রবার থেকে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।

তিনি আরো জানান, তবে এখনও পর্যন্ত নদীর বাঁধের কোনো স্থানে অতিঝুঁকির খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের সব ধরনের প্রস্ততি রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন খোয়াই নদীর পানি হঠাৎ আশঙ্কাজনভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন বিপৎসীমার ২৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ওই সময় নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙনের গুজব ছড়িয়ে পড়লে আতংকিত হয়ে ওঠেন শহরবাসী। এবারও নদীর বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কায় শহরবাসীর মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর