চালের প্রথম চালান মংলা বন্দরে পৌঁছেছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে ভারত থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান। শুক্রবার (১১ আগস্ট) দিনগত রাতে এ চাল খালাস শুরু হচ্ছে। বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ওলিউল্লা হাওর বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হারবার মাষ্টার কমান্ডার ওলিউল্লা জানান, আমদানি করা চালের গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাতে চালের খালাস কাজ শুরু হবে। প্রথম দফায় প্রায় চার হাজার সাতশ মেট্রিক টন চাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ ‘এমভি ডং আন কুইন’ বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় ভিড়েছে। প্রায় আট বছর পর বন্দরে ভিড়লো চালের জাহাজ। প্রাথমিকভাবে আমদানি করা চালের গুণগত মান দেখে খাদ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দেশের চলমান দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ভারত থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় চালের চার হাজার সাতশ এক মেট্রিক টন চাল নিয়ে গত বুধবার (৯ আগষ্ট) মংলা সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে ভিয়েতনামের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ডং আন কুইন’।

গত ৭ আগস্ট ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে এ চাল বোঝাই করে মংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বিদেশি এই জাহাজটি। ইতোমধ্যে খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা বন্দরে চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় চালবাহী জাহাজ পরিদর্শন ও চালের নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে চালের গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে খালাসের কাজের অনুমতি দেয় খাদ্য বিভাগ। প্রতিটি ৫০ কেজি ওজনের পলি ব্যাগে ৯৪ হাজার ২০ ব্যাগ চাল রয়েছে জাহাজটিতে।

লোকাল শিপিং এজেন্ট মোসার্স খুলনা এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি বি কে চক্রবর্তী পল্টু হাওর বার্তাকে বলেন, ‘আমদানি করা চালের গুণগত মান বেশ ভাল। এ  চাল খালাসের জন্য শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে।’

মংলার শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোসার্স খালিদ ব্রাদাসের্র সুপারভাইজার আবুল কাসেম হাওর বার্তাকে বলেন, ‘চাল খালাসের জন্য সব প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি পেলেই খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ চাল খালাসে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।’

খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে এ বন্দরে চাল বোঝাই কোনও জাহাজ ভেড়েনি। এবার দুর্যোগকালীন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ভারত থেকে সরকারের আমাদানি করা চালের প্রথম চালান নিয়ে জাহাজটি বন্দরে এসেছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। বন্দরে আসা চালের গুণগত মান পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

মংলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্র (চওস) জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর হাওর বার্তাকে বলেন, ‘লাইটার জাহাজের মাধ্যমে এ চাল দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন খাদ্য গুদামে পৌঁছাবে।’

জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, ভারত থেকে সরকারিভাবে আমদানি করা এ চালের দেশীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুব্রি এ্যাগো এ্যানার্জি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্থানীয় এজেন্ট ও খাদ্য বিভাগ যৌথভাবে এ চাল খালাসের কাজ ও দেখভালের দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া ভারত থেকে পর্যায়ক্রমে মংলা ও চট্রগ্রাম বন্দরে আসবে আরও প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল। বন্দরে এ চাল খালাসের মধ্যদিয়ে আমদানি করা খাদ্য শষ্য মংলা বন্দরে শতকরা ৪০ ভাগ এবং চট্রগ্রাম বন্দরে ৬০ ভাগ খালাস হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর