মা মেয়েকে নির্যাতন: ৪ দিনের রিমান্ডে রুমকি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তাকে ও তার মাকে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনার আসামি পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ সাতজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রুমকিকে চার দিনের, বাকি ছয় আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন- নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, তার মা রুমি বেগম, বাবা রুনু, তুফানের স্ত্রী আশা বেগম, সহযোগী মুন্না, জিতু এবং চুল কাটার সহযোগী নাপিত জীবন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, এই সাত আসামিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে  রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত আসামি রুমকির চার দিন এবং অন্য ৬জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে বিকেলে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত রোববার রাতে নারী কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে পাবনা জেলা শহর থেকে এবং তুফানের স্ত্রী আশা বেগম, সহযোগী জিতু ও মুন্নাকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রুমকির বাবাকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় চুলকাটার নাপিত জীবনকে বিকেলে জেলার গাবতলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার পর হোতা তুফান সরকার ও তার সহযোগীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা হলেন- আলী আজম দিপু, রূপম হোসেন ও আতিকুর। আতিকুর রহমান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। বাকিদের গত রোববার তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

এর আগে নির্যাতনের শিকার মা বাদী হয়ে নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ১০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে কলেজে ভর্তির নামে এক ছাত্রীকে (১৭) বাড়িতে নিয়ে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রীর বোন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি বিচারের নামে ওই ছাত্রী ও তার মাকে বাড়িতে ডেকে নির্যাতন চালিয়েছে।

তুফান বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে কেটে দিয়েছে মা ও মেয়ের মাথার চুল। এরপর নাপিত ডেকে দু’জনের মাথা ন্যাড়া করে বাড়ি পাঠানোর সময় বগুড়া ত্যাগ করতে হুমকি দিয়েছে। এমনকি মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে বাড়িতে পিকআপ ভ্যানও পাঠায়।

পরে শুক্রবার রাত ১২টার পর সদর থানা পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে ভিকটিমদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও রাতভর অভিযান চালিয়ে তিন সহযোগীসহ তুফানকে আটক করে। ভিকটিমদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় ছাত্রীর মা গতকাল শনিবার দুপুরে সদর থানায় তুফান, কাউন্সিলর রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও অন্যান্য ধারায় মামলা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর