ছেলেদের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া তিন কার্যকরী উপায়

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ  ব্রণ হলো মানব ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগবিশেষ যা বিশেষত লালচে ত্বক, প্যাপ্যুল, নডিউল, পিম্পল, তৈলাক্ত ত্বক, ক্ষতচিহ্ন বা কাটা দাগ ইত্যাদি দেখে চিহ্নিত করা যায়। ভীতি, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা উদ্রেকের পাশাপাশি, এটির প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া।[ অতিরিক্ত পর্যায়ে মানসিক অবসাদ এবং আত্মহত্যার মত অবস্থার উদ্ভব হতে পারে।একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্রণের রোগীদের আত্মহত্যার পরিমাণ ৭.১%।

কখন ও কোথায় ব্রণ হয় বয়ঃসন্ধির সময় প্রথম ব্রণ দেখা যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৯ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে।
তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখেই দেখা যায়, তবে পিঠে, ঘাড়ে ও বুকেও হতে পারে।গরমকালে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।

মেয়েদের মতো ছেলেরাও ত্বকের যে সমস্যাটিতে বেশি ভুগেন তা হলো ব্রণ। নানা কারণেই ব্রণ হতে পারে। তরুণদের মধ্যে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ব্রণ থেকে বাঁচার জন্য নানাজন নানাভাবে চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু বেশীরভাগ সময় এর ফলাফল মূন্য হয়। তাই আজ দেয়া হলো ব্রণের সমস্যা এড়াতে ছেলেরা যা করবেন-যে কারণে ব্রণ হয় :# হরমনের পরিবর্তন
# ত্বকে ধুলোময়লা জমে থাকা
# বংশগত কারণ
# ত্বকে ভিটামিনের অভাব
# কোষ্ঠকাঠিন্য।

ব্রণ থেকে বাঁচার উপায় :
তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণের সংক্রমণ বেশি হয়। তাই সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। দিনে কমপক্ষে দু’বার গোসল করুন। প্রতিদিন অন্তত তিন-চার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। ব্রণের উৎপাত অনেকটা কমে যাবে।

মুখে সাবান ব্যবহার না করে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে নিয়মিত ময়দা, দুধ ও মধুর পেস্ট লাগান, ব্রণের দাগ চলে যাবে এবং ত্বক উজ্বল হবে।

মুখে ব্রণ দেখা দিলে তা নখ দিয়ে খোঁটাখুঁটি করা একদম ঠিক না। এতে ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হয়ে যাবে এবঙ সহজে নির্মূল হবে না।

যা খাবেন :
১. তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. বেশি করে শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
৩. পেট পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়।
৪. নিয়মিত সবুজ শাকসবজি আর টাটকা ফলমূল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
৫. প্রতিদিন পরিমিত পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বক, ত্বকের অযত্ন ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ব্রণের সমস্যা হয়। ব্রণের সমস্যা বেশি হলে সমাধানের জন্য ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। তবে এর আগে ব্রণ দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে দেখতে পারেন।

ব্রণ দূর করার কিছু উপায় জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

পেঁপে ব্রণ দূর করার উপাদান হিসেবে চমৎকার। এটি ত্বক থেকে বাড়তি তেল দূর করে এবং মুখের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

পাঁচটি ছোট পেঁপের টুকরো ব্ল্যান্ড করুন।
পেঁপের এই পেস্ট ব্রণের মধ্যে লাগান।
৩০ মিনিট এভাবে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণ না কমা পর্যন্ত প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন।

বরফ

বরফ দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। বরফের ঠান্ডাভাব ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে।

প্রথমে ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
একটি বরফের টুকরোকে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কয়েক মিনিট ব্রণের ওপর রাখুন। বরফ সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না।
পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার ব্যবহার করুন।
ডিমের সাদা অংশ

ডিমের ভিটামিন, এমাইনো এসিড, প্রোটিন ব্রণের ওপর কাজ করে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল ডিমের সাদা অংশটুকু ব্যবহার করবেন।

মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
দুটি ডিমের সাদা অংশ বের করে নিন।
নরম ব্রাশ বা হাত দিয়ে ব্রণের মধ্যে সাদা অংশ লাগান।
পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে আবার ডিমের সাদা অংশ দিন।
কিছুক্ষণ রাখার পর মুখ ধুয়ে হালকা ধাঁচের কোনো ক্রিম ব্যবহার করুন।
পেঁপে

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর