সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) এ কে খন্দকারকে এক হাত নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগকে যেমন সংগঠিত করেছিলেন তেমনি করে সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যেও সুসংগঠিত করার তৎপরতা চালিয়েছিলেন। যারা বলেন স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর কোন পরিকল্পনা ছিল না, মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা ছিল না, ওইসব বেয়াদবদের বোঝানো যাবে না। এ কে খন্দকারদের বোঝানো যাবে না যে বঙ্গবন্ধুর এ পরিকল্পনা ১৯৪৮ সালের ৪ ঠা জানুয়ারি যেদিন ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন সেদিনই নিয়েছিলেন।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ’জাতীয় শোক দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি এ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই সারা পৃথিবীতে তিনি এক ও অনন্য। তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেও তিনি ছিলেন অনন্য। আজকে প্রতি পদে পদে আমরা বঙ্গবন্ধুর শূন্যতা অনুভব করছি। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর তত্ত্বাবধানে করা ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়িত হলে আমাদের ২০২১ সালের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো না, এর আগেই সেই জায়গায় পৌছে যেত এদেশ।
বাকশাল নিয়ে প্রচলিত সমালোচনার জবাব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাকশাল নিয়ে অনেকেই অনেকে কথা বলেন। কিন্তু এর কর্মসূচির কথা সমালোচকরা জানেন না। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল সেটা ছিল প্রথম বিপ্লব, তার দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল বাকশাল। বর্তমানে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধাপে ধাপে সে বিপ্লব বাস্তবায়ন করছেন।
পরিষদের সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ঢাবি উপাচার্য ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক, চবি উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু প্রমুখ।