বিএনপির মনোনয়ন চান শতাধিক তরুণ নেতা

অতীতের মতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তরুণদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছে বিএনপি। ইতিমধ্যে এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। হাইকমান্ডের মনোভাব বুঝতে পেরে সারা দেশে শতাধিক তরুণ নেতা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তবে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন নেতাও মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছেন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে তরুণদের জয়জয়কার। নবীন-প্রবীণের সমন্বয় করায় দল অনেকটাই চাঙ্গা। নীতিনির্ধারকরাও তরুণদের ওপর আস্থাশীল হয়ে উঠছেন। এর প্রতিফলন দেখা যেতে পারে আগামী সংসদ নির্বাচনে।

মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে মেধাবী ও উদ্যমী তরুণরা বেশকিছু কারণে এগিয়ে থাকবেন। বিশেষ করে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে এরাই ছিলেন সক্রিয়। ক্ষমতায় থাকাকালে অনেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করলেও দলের দুর্দিনে তারা কেটে পড়েন। নিজ সম্পদ ও পরিবার রক্ষায় ছিলেন ব্যস্ত। এসব সুবিধাবাদী সাবেক এমপি-মন্ত্রীর পরিবর্তে উদ্যমী তরুণদের মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে দলের বড় একটি অংশ। আবার সংস্কারপন্থী ইস্যু, বয়সের ভারে ন্যুব্জ, অসুস্থ, দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় এমন নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা কম। ক্ষমতায় গেলে তাদের সম্মানজনক স্থানে রাখা হবে এমন আশ্বাসে তরুণদের এসব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে ক্লিন ইমেজধারীরাই বেশি সুযোগ পাবেন।

কারা মনোনয়ন পেতে পারেন- জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এমন নেতাদেরই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। দলের পাশাপাশি মনোনয়নের ক্ষেত্রেও অতীতে তরুণদের স্থান দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে আসছে বিএনপি। ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫ জনের মতো তরুণ নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৭ জন এমপির পাশাপাশি কয়েকজন মন্ত্রীও হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও এ ধারা অব্যাহত ছিল। দলের চরম দুর্দিনেও ওই নির্বাচনে শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার মতো তরুণ নেতারা এমপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।

সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব দীর্ঘদিন রয়েছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে। এবার তিনি পাবনার ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বলে অনেকটাই নিশ্চিত। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম ঢাকা-১০, বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ফেনী-৩, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহ-১, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম-৯ আসনে প্রার্থী হতে চান। ছাত্রদলের এক সময়ের ব্যাপক আলোচিত নেতা সানাউল হক নিরু নরসিংদীর বেলাবো থেকে নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনি এলাকায় গণসংযোগ ও কেন্দ্রে যোগাযোগ চালাচ্ছেন। যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকা-১২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ মুন্সীগঞ্জ-২, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু লক্ষ্মীপুর-৪, যুবদলের সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ পঞ্চগড়-১, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইলিয়াস খান এবার বরিশাল-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে। এ আসনে গত নির্বাচনে দলের প্রার্থী সরফুদ্দিন সান্টু দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় নেতাকর্মী-সমর্থকরা ইলিয়াস খানকে মনোনয়নের জন্য চাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ফরিদপুর-২ ও বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ-চৌহালী। নরসিংদী-৪ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এবার যুক্ত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল। সাবেক ছাত্রনেতা বজলুল বাসিত আনজু ঢাকা-১৫, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর, সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির- বি. বাড়িয়া ও কৃষকদল নেতা তকদির হোসেন জসিম ব্রাহ্মবাড়িয়া-৫, শেখ মোহাম্মদ শামীম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল খান কুমিল্লার দেবীদ্বার, আকরামুজ্জামান বিপ্লব কুমিল্লা-৩,  আবদুল আউয়াল খান কুমিল্লা-৪, যুবদলের সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম কুমিল্লা-৮, ময়মনসিংহ-১০ আসনে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, তাঁতীদলের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু চাঁদপুর-৫, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তফা খান সফরী চাঁদপুর-২, যুবদলের দফতর সম্পাদক কাজী রফিক চাঁদপুর-৪, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু ঝিনাইদহ-১, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি হায়দার আলী লেলিন ভোলা সদর, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোর-১, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন মাদারীপুরের কালকিনি, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান শিমুল ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন। বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খানও এ আসনের প্রার্থী। ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) হামিদুল ইসলাম হামিদ ও সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, পটুয়াখালী-১ অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) মুনির হোসেন, পটুয়াখালী-৩ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান ঢাকা-১৪ এবং ঢাকা উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর ঢাকা-১৮, ভোলা-৪ নূরুল ইসলাম নয়ন, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু ফেনী সদর, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল বারী ড্যানি নেত্রকোনা-২ আসন থেকে দলের মনোনয়ন দৌড়ে আছেন। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু ঝালকাঠি-২, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ভোলা-৪, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মুনির হোসেন পটুয়াখালীর দুমকিতে দলীয় মনোনয়ন পেতে চান।

তারকা ফুটবলার সাঈদ হাছান কানন নোয়াখালী-৬, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন নীলফামারী-৪ থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এবার। সাবেক ছাত্রনেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন পটুয়াখালী কলাপাড়া, ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান মাদারীপুর, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কলমাকান্দা-দুর্গাপুর, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ফরিদপুর-২ আসনে দলের মনোনয়ন পাবেন বলে অনেকটাই নিশ্চিত।

বিএনপির টিকিটে খুলনা-৪ থেকে এমপি হয়েছিলেন নুরুল ইসলাম দাদুভাই। তিনি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। তার পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ আসন থেকে এবার মনোনয়ন পেতে পারেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। ২০০১ সালে রাজশাহী (চারঘাট-বাঘা) থেকে কবির হোসেন ও বাগমারা-মোহনপুর থেকে আবু হেনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কবির হোসেন শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এ আসনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আবু সাঈদ চানসহ আরও কয়েকজন মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নওগাঁ-৬ থেকে ২০০১ সালে এমপি হন আলমগীর কবির। ক্ষমতায় থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পাশাপাশি তিনি একসময় এলডিপিতেও যোগদান করেন। আগামী নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাবনা কম। তার পাশাপাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাবেক এমপি মোতাহার হোসেন চৌধুরীর ছেলে ছাত্রদলের সাবেক নেতা মামুন চৌধুরী। সিরাজগঞ্জ-৬ থেকে বিগত কয়েকটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাবেক এমপি মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। তারপরও মনোনয়ন চাইবেন তিনি। তবে তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।

ফরিদপুর সদর আসনে নবম সংসদ নির্বাচনে জোটের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পান জামায়াতের আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে ইতিমধ্যে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এ আসনে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এবার মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সংস্কারপন্থী হওয়ার কারণে তৃণমূলে কিছুটা বেকায়দায় আছেন তিনি। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চান জেলার সাধারণ সম্পাদক মোদারেছ আলী ইশা ও যুবদল নেতা মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু। তবে পিংকু কিছুটা ভালো অবস্থানে আছেন। কারণ বিগত উপজেলা নির্বাচনে সদর থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে বর্তমান এলজিআরডিমন্ত্রীর ভাইয়ের কাছে পরাজিত হন।

নাটোর-১ থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল মারা যান। এ আসনে পটলের স্ত্রী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিনের পাশাপাশি মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা বিএনপির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। পঞ্চগড়-২ আসনে সাবেক এমপি মোজাহার হোসেন মারা যাওয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ একক প্রার্থী হিসেবে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। লক্ষ্মীপুর-৪ থেকে ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হন আশরাফ উদ্দিন নিজান। তার পাশাপাশি এবার ওই আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।

এ প্রসঙ্গে বাবু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার নেতাকর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তৃণমূল নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে আমাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে জয়ী হব বলে আশা করি।’

মাদারীপুর-১ থেকে তরুণ নেতা জামান কামাল মোল্ল্যা নুরুদ্দিন অনেকটা এগিয়ে আছেন। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল হুদা চৌধুরী মিঠু মারা গেছেন এবং ঠাণ্ডু চৌধুরী বয়সের ভারে ন্যুব্জ। জানতে চাইলে জামান বলেন, ‘এলাকার নেতাকর্মীদের যে কোনো বিপদ-আপদে সাধ্যমতো সহযোগিতা এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত এ আসনে চমক দেখাতে পারব বলে আশা করি।’

চট্টগ্রাম-২ আসনে বিগত সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন যুদ্ধাপরাধী মামলায় ফাঁসি হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এ আসনে এবার তার স্ত্রী ফরহাদ কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ছাড়াও তরুণ সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে পেশাজীবী হিসেবে কয়েকজনকে এবার মনোনয়ন দেয়া হবে। পেশাজীবী তালিকায় গনি সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। এ প্রসঙ্গে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, নানা কারণে ফটিকছড়ি এলাকা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছিল। দলে সাংগঠনিক গতি আনতে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। দল তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনটি আবারও খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকা-১৮ (উত্তরা) যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, ওবায়দুর রহমান চন্দন জয়পুরহাট-২, শহীদুল্লাহ ইমরান নেত্রকোনা-৫, ইশতিয়াক আহম্মেদ নাসির কিশোরগঞ্জ-৫, ঢাকা-৪ সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-১৬ (পল্লবী) আসনে বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক মনোনয়ন চাইবেন এবং এলাকায় কাজ করছেন।

ঢাকা-৭ (লালবাগ-চকবাজার) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু জেলখানায় মারা যান। দলটির নেতাকর্মীরা মনে করেন, বিএনপির কারণে মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে কারাগারেই তাকে মরতে হয়েছে। এ ছাড়া পিন্টু দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও আস্থাভাজন ছিলেন। তাই এ আসনে এবার পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা মনোনয়ন চাইবেন এবং পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কল্পনা ছাড়াও এ আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রাসেল মনোনয়ন চাইতে পারেন। এ প্রসঙ্গে কল্পনা বলেন, এ দলের জন্য পিন্টু যা করেছেন তা সবাই জানেন। জীবনের শেষ পর্যন্ত বিএনপির জন্য কাজ করে গেছেন। দলের চেয়ারপারসনের প্রতি আমার আস্থা এবং বিশ্বাস আছে এবং আশা করি তিনি পিন্টুর পরিবারকে বিমুখ করবেন না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর