স্বাস্থ্যোপকারি সরিষার তেল

সরিষার তেল ছাড়া ভর্তা ভাবাই যায় না। আর আচার তো হবেই না। সরিষা তেলের ব্যবহার রান্নায় দীর্ঘদিন থেকেই হয়ে আসছে। বিভিন্ন ধরনের সরিষা রয়েছে এর মধ্যে কালো, সাদা আর খয়েরী রঙের সরিষাই বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে । কালো সরিষার ঝাঁঝ বেশী থাকে বলে এর তৈরী খাদ্য অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।

তবে সরিষা তেলের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও  শরীর এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য সরষের তেলের কোনও বিকল্প প্রায় হয় না বললেই চলে। আর একথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মেনে নিয়েছে।

প্রতিদিন সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়, তা জেনে নেয়া যাক-

১. ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধি

বিশ্ব সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে সরষের তেল ওমেগা ত্রি এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধি, যা জয়েন্ট পেন এবং ডিপ্রেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. ব্রেনে শক্তি বৃদ্ধি পায়
সরিষার তেলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।৩. শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সরিষার তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোণায় যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।

৪. হার্টের বন্ধু

একাধিক গবেষণায় একতা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত সরিষার তেল খেলে হার্টের কোনও ক্ষতি হয় না, বরং  কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৫. ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচায়
ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে এই তেলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৭. পেটে ব্যথা এবং মাথা যন্ত্রণা

সরিষার তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটারি উপাদান যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত মাথা যন্ত্রণা এবং তলপেটের অস্বস্তি কমাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে।

এছাড়াও – সরিষার তেলে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এ্যাসিড রয়েছে যা শরীরের প্রয়োজনীয় মেটাবলিক ফাংশনের জন্য জরুরী।  ব্লাড সারক্যুলেশন আর স্টিমুলেশনের জন্য ভালো কাজ দেয়। ম্যাসাজে সরিষার তেল ব্যবহারে রক্ত চলাচল ভালো করে।

অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান  থাকায় চর্ম রোগে নিরাময়ে সহায়তা করে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর