আওয়ামী লীগের ‘ভাই’ বিএনপির ‘দাদু’ই সব

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  দুজনই বরিশালের শীর্ষ রাজনীতিক। একজন আওয়ামী লীগের, অন্যজন বিএনপির। নিজ নিজ সমর্থকদের কাছে একজন ‘সিংহপুরুষ’, আরেকজন ‘উন্নয়নের রূপকার’। কাছের নেতাকর্মীরা একজনকে ‘ভাই’, আরেকজনকে ‘দাদু’ বলে সম্বোধন করে।

দুজনের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। তবে প্রভাবের রাজনীতিতে দুজনের মধ্যে দারুণ মিল। নিজ নিজ দলে পরিবারতন্ত্র গড়েছেন দুজনেই। দুই দলে দুজনের মুখের কথাই শেষ কথা। কেউ প্রতিবাদ তো দূরের কথা মতামত দেওয়ার সাহসও রাখে না। দুই দলে দুজনই সব।

প্রথমজন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ সরকারের সময়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ছিলেন। বর্তমানে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সংসদ সদস্য। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

দ্বিতীয়জন হলেন মজিবর রহমান সরোয়ার। সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের আমলে প্রথমে জাতীয় সংসদের হুইপ, পরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি।

আওয়ামী লীগে পরিবারতন্ত্র : আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর তাঁর স্ত্রী সাহান আরা আবদুল্লাহ জেলা কমিটির সহসভাপতি। এই দম্পতির ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি নগর কমিটির তিন নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেও সব কিছুই চলে তাঁর কথায়। সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করায় তিনি সাংগঠনিক বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নেন না। অপরদিকে সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে সাদিকের সঙ্গেই থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক সবই সাদিক। দুলাল ও জাহাঙ্গীর রয়েছেন নামেমাত্র। এরা দুজন সাদিকের বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠজন হওয়ার কারণে ছেলের পথ পরিষ্কারে তাদের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। মূলত সব কিছুর হর্তাকর্তা হাসানাত আবদুল্লাহ ও তাঁর ছেলে সাদিক। এখন নগর আওয়ামী লীগকে এরা পরিবারতন্ত্রে পরিণত করেছে। ’

‘যুবরত্নে’ ম্লান ‘সিংহপুরুষ’ : হাসানাতের ছেলে সাদিককে ভালোবেসে নেতাকর্মীরা ‘যুবরত্ন’ বলে সম্বোধন করে। বাবার রাজনৈতিক পরিচয়, এমনকি তাঁরই খুব কাছের নেতাকর্মীদের ওপর ভর করে সাদিক আবদুল্লাহর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেই ছেলের প্রচারই এখন বাবার চেয়ে বেশি। ভুরঘাটা থেকে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কিলোমিটার মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ছেয়ে গেছে তাঁর ব্যানার-ফেস্টুনে। ব্যানার-ফেস্টুনে এক কোণে ঠাঁই মিলেছে বাবার। বিপরীত পাশে জাতির জনক আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। মাঝে বিশাল ছবি সাদিকের। ছবির নিচে যুগ্ম শব্দটি ছোট করে লিখে বিশাল করে সাধারণ সম্পাদক লেখা ছবির ওপরে। শহরের অলিগলি পেরিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তাঁর ব্যানার-পোস্টার। তা ছাড়া কর্মসূচি এলেই সাদিকের ছবিতে পুরো শহর ছেয়ে যায়, যা এর আগে দেখা যায়নি।

৭১ সদস্যের মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীরের পক্ষে কোনো ব্যানার-ফেস্টুর চোখে পড়ে না। কমিটির অন্যরা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিককে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন সেঁটেছেন। শুধু তাই নয়, কমিটি ঘোষণার পর প্রথম সভায় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, এই কমিটির পুরো অবদান সাদিকের। তাঁরা দুজন তাঁর নির্দেশনা মেনে কাজ করবেন।

অন্যদিকে ‘সিংহপুরুষ’ হাসানাতকে নেতাকর্মীরা ভাবতেন দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতির অভিভাবক। সভা-সমাবেশেও অভিভাবক বলে সম্বোধন করা হতো। বরিশাল জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পর্যন্ত তাঁর অনুসারী। বিভাগের অধিকাংশ পৌর মেয়র তাঁর ব্যক্তি রাজনীতির অনুসারী। অনেক জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাঁর অনুসারী। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরন তাঁর একক নেতৃত্বে ভাগ বসিয়েছিলেন। হিরনের মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারীরাও এখন হাসানাতের পিছু ছুটছে।

সেই হাসানাত আবদুল্লাহ এখন বরিশাল শহরে অবস্থান করেন না। কালীবাড়ী রোডে তাঁর পৈতৃক বাড়িতেও তেমন একটা আসেন না। থাকেন আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালের গ্রামের বাড়িতে। দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে। গুরুত্বপূর্ণ দলীয় সভাও গ্রামের বাড়িতেই হয়।

আর সাদিক গ্রামের বাড়িতে তেমন একটা যান না। থাকেন শহরের কালীবাড়ী রোডে তাঁর দাদার বাড়িতে। ১৯৯৬ সালে যারা হাসানাতের পাশে ছিল, এখন তারাই সারাক্ষণ সাদিকের পাশে থাকছে। যদিও তারা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িন নয়।

দলীয় নেতারা যা বললেন : বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘মাঠে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে তত্পর ছিলাম। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি অনেকবার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে লড়াই করেছি। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ করতে হলে মিথ্যা হত্যা মামলার শিকার হতে হয়। যারা দুঃসময়ে মাঠে ছিল না তাদের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে হয়। তাই আতঙ্কে রয়েছি। ’

মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম বলেন, ‘বরিশাল আওয়ামী লীগ এখন পারিবারিক রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। পরিবার যা চায় তাই হয়। কলেজ থেকে রাজনীতি শুরু করে নগরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এখন পরিবারতন্ত্রের কারণে দলে মূল্যায়ন নেই। যারা হিরনের নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে তাদের সুকৌশলে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের সংযুক্ত করা হয়েছে তারা অনেকেই সংগঠনে সম্পৃক্ত ছিল না। এর পরও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি, এখনো করছি। ’

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। কোনো ব্যক্তির আদর্শ, ইচ্ছা কিংবা স্বেচ্ছাচারিতা মেনে রাজনীতি করব না। বরিশালের রাজনীতির পরিবেশ ভালো নয়। তবে রাজনীতি থেকে দূরে নয়। আমি আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচি পালন করছি সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়ে। ’

অভিযোগ খণ্ডন : সাদিক আবদুল্লাহ হাওর বার্তাকে বলেন, ‘মেয়র হিরনের মৃত্যুর পর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছি। তারা ভালোবেসেই নগরজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা আগামীতে আমাকে নগরপিতার আসনে দেখতে চাইছে। আমি তো কর্মীবান্ধব, কর্মীদের ইচ্ছার বাইরে যেতে পারছি না। ’

হাসানাত আবদুল্লাহ হাওর বার্তাকে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করবে না। যদি কেউ শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনী মাঠে থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আমার বিশ্বাস, দলের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করবে না। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লাহর বাইরে অন্য কেউ মনোনয়ন পেলে দলের স্বার্থে শেখ হাসিনার প্রার্থীর পক্ষে আমি কাজ করব। ’

প্রচারণায় সাদিক এগিয়ে রয়েছেন—এমন কথা স্বীকার করে হাসানাত বলেন, ‘মাঠ সব সময়ই ছাত্র আর যুবকদের দখলে। সাদিক তৃণমূলের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখে। তাই শহর ছাড়িয়ে জেলা-উপজেলা এমনকি গ্রামে ছাত্র-যুব কর্মীরা ভালোবেসে প্রচারণা চালাচ্ছে। ’

সব কিছুই সরোয়ারের দখলে : ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর একক আধিপত্য শুরু হয় মহানগর বিএনপি সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের। ‘দাদু’ নামে পরিচিত সরোয়ারের বিরুদ্ধে কথা বলার শক্তি বা সাহস ছিল না কারো। তাই বরিশাল জেলা মহানগর বিএনপির একচ্ছত্র অধিপতি তাঁকেই বলা হতো। আর ১৬ বছর পরও তাঁর সেই আধিপত্যের কমতি নেই।

কাউন্সিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হয়েও দলের চারটি পদ একাই রেখেছেন তিনি। এখন তাঁর দখলে রয়েছে বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহসভাপতির পদ। এখানেই শেষ নয়; নগর বিএনপির তিনটি পদে রয়েছেন তাঁর স্বজনরা। সরোয়ারের স্ত্রী নাসিমা সরোয়ার মহানগর বিএনপির এক নম্বর সদস্য। শ্যালক সাইদুল হাসান মামুন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। ভাই মিজানুর রহমান ওয়াহিদ নগর বিএনপির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক। তিনি শ্রমিক দলের মহানগর সভাপতি পদপ্রত্যাশী।

বরিশাল জেলা বিএনপির একক অধিপতি ছিলেন সরোয়ার। তবে সম্প্রতি তাঁর ওই দুর্গ ভেঙে দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন। জেলা বিএনপি সভাপতি এবায়দুল হক চান শিরিনের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে যুক্ত হওয়ায় হোঁচট খান সরোয়ার। তবে সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন এখনো সরোয়ারের অনুসারী।

ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও শ্রমিক দল সরোয়ারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রতিটিতেই এখন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বিলকিস জাহান শিরিন। এর পরও এখনো বরিশাল বিএনপির নিয়ন্ত্রণকর্তা সরোয়ার। যেকোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল সব কিছুই সরোয়ারকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়। অন্য কেউ করতে চাইলে তা শুরুতেই থামিয়ে দেয় সরোয়ারপন্থীরা। জেলা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে সরে গিয়ে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আহসান হাবিব কামাল। কর্মীদের অভিযোগ, তিনি দলীয় কর্মীদের বঞ্চিত করে সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করছেন। শুধু তাই নয়, দলীয় কোনো কর্মসূচিতেই কামাল অংশ নেন না। তবে মহানগর বিএনপির সভাপতির পদ পেতে তিনি সরোয়ারের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছে।

দলীয় নেতারা যা বললেন : বরিশাল জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান বলেন, ‘আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের বিএনপির রাজনীতি করি। এরপর মধ্যে আর কোনো নেতা আমাদের নেই। যদি কেউ বিএনপিকে ব্যক্তিগত মনে করে, স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের জন্য সংগঠনকে ব্যবহার করে এবং পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চায় তাহলে তাকে কর্মীরা এমনিতেই নেতা মানবে না। এখন তিনি (সরোয়ার) কেন্দ্রীয় নেতা। তাই সেখানেই তাঁর রাজনীতি করা শ্রেয়। তৃণমূলে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করলেও আমরা তা মানব কেন?’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘পদ আঁকড়ে স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করা কিছু নেতার কারণে বিএনপি দুর্বল হচ্ছিল। এমনটি অনুধাবন করে দলীয় চেয়ারপারসন এক নেতার এক পদ এ বিষয়টি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অনেকে এ নীতি মেনেছেন। কিন্তু যাঁরা মানেননি তাঁরা সব সময়ই ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করেছেন। যাঁদের মধ্যে তিনি (সরোয়ার) একজন। আমার বিশ্বাস, কেন্দ্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি দলীয় চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্ত মেনে একাধিক পদ ছেড়ে দেবেন। ’

শিরিন আরো বলেন, ‘এখন তৃণমূল অনেক সচেতন। যে কমিটিগুলো নতুন করে আসবে তা তৃণমূল নেতাদের তালিকা অনুসারেই। যুবদলের কমিটিও সে রকম হয়েছে। এখন তাঁর (সরোয়ারের) যদি এতে আধিপত্য ছুটে যায় তাতে দলের কিছু নেই। অনেকে তো নিজের স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করেছেন, এখন দলের জন্য কিছু করুক। বরিশালের বিএনপির নেতারা এমনটিই চান। ’

অভিযোগ খণ্ডন : মেয়র আহসান হাবিব কামাল হাওর বার্তাকে বলেন, ‘আমি বিএনপিতে কোনো পদ না পেলেও দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। তিনজন নেতা একাধিক পদ নিয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনি (সরোয়ার) একজন। এখন তাঁর ওই পদ ছেড়ে দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত। কারণ সংগঠনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন সময় নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করার, পদ আঁকড়ে রাখার নয়। ’

মজিবর রহমান সরোয়ার হাওর বার্তাকে বলেন, ‘মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যুতে দলের গোটা দায়িত্ব সভাপতি হিসেবে আমাকে নিতে হচ্ছে। বিভাগীয় শহরের রাজনীতি পরিচালনা খুবই কঠিন। এই সংকটময় মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করে মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের জন্য সময় চেয়েছি। ’ খুব তাড়াতাড়ি এই সংকট কেটে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর