এক ‘মুছা’তেই ঘুরছে মিতু হত্যা মামলার ভবিষ্যত

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার এক বছর পূর্ণ হবে আগামী ৫ জুন। মাহির-তাপুর দুই সন্তানের সংসারে মিতুর মৃত্যু তার পরিবারে ঝড় তোলে। সন্তান মাহিরের সামনে মাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যপট তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় মাহিরকে। মিতুর বাবা, মা, বোনসহ পুরো পরিবারের হুদয়ে এখনো মিতু হারানোর দগদগে ঘা। কিন্তু মিতু হত্যাকান্ডের আসামীদের মধ্যে মুছাকে গুরুত্বের সাথে পুলিশ বিবেচনা করলেও সে মুছাকে এখনোও পুলিশ ধরতে পারেনি। জানা যায়নি, নির্দেশদাতার নাম। তারপরও গত এক বছরে মামলার অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য হয়েছে বলে দাবি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো.কামরুজ্জামান।

মো.কামরুজ্জামান বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও কি অগ্রগতি হয়েছে তার পুরোটাই খোলাসা করে বলা সম্ভব না।

হত্যাকান্ডের পর থেকেই সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আইজি’র নির্দেশে ঘটনা তদন্তে পাঁচটি সমন্বিত টিমও গঠন করা হয়।

এদিকে মিতু হত্যাকাণ্ডের পরের প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মিতু হত্যার আসামীদের মধ্যে মুছাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করলেও মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মুছাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেননি। ওয়াসিমও আনোয়ারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে উঠে এসেছে, মুছাই মিতু হত্যাকান্ডে তাদের ভাড়া করেছিলো। একইসাথে গ্রেপ্তারকৃত ভোলাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও এসেছে মুছার নাম।

মুছার নাম বললেও মিতু হত্যাকান্ডে মুল নির্দেশদাততার নাম গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা বলতে পারেনি। তাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অভিমত, মুছাকে পেলেই মিতু হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতাকে খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু মুছাকে আদৌ পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারবে কি না, নাকি মুছা নামটি মামলার তদন্তকালেই মুছে যাবে এ নিয়েও ভাবিয়েছে পুরো বছর অনেককে। যদি তাই হয়, তবে মামলার বিচারিক কাজ যখন শুরু হবে, তখন আসামীপক্ষের আইনজীবীদের মামলার তদন্ত রিপোর্টের দূর্বলতা নিয়ে আসামীকে বাঁচানো সহজ হবে বলে আইন বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও মনির নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মনিরের কাছে দুটি পিস্তল ও ছয়টি গুলি পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি পিস্তল মাহমুদা হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। মাহমুদা হত্যা মামলায় ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁরা বলেছেন, হত্যায় ব্যবহারের জন্য ভোলা দুটি অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান তখন জানিয়েছিলেন, ভোলাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, অস্ত্র যোগান দেয়ার জন্য মুছাই ভোলাকে বলেছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে ভোলা জানিয়েছে, গত ৪ জুন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এর স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামী ওয়াসিম ও মুছা তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করেছিলো। এরপর হত্যাকাণ্ড শেষে ভোলা ৫ জুন সকাল সাড়ে নয়টার সময় অস্ত্রগুলো ফেরত দেয় মুছাকে। তাই ভোলাকে রিমান্ডে এনে মিতুর হত্যাকাণ্ডে মুছার ভূমিকা বিশদ জানতে চাওয়া হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, মুছাকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মুছা কার নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে, সব রহস্যের জট খুলবে তখনই।

এদিকে ওয়াসিম ও আনোয়ারের জবানবন্দীর তথ্যের সাথে পুলিশ কমিশনারের উল্লেখিত জবানবন্দীর তথ্যে গরমিল দেখা যায়। মিতু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ারের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রবিবার যখন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কার্যালয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট হারুন-অর-রশিদের আদালতের কক্ষে চলছিলো, তখন পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ওয়াসিমের গুলিতে খুন হয়েছেন মিতু। আর আনোয়ার ঘটনাস্থল রেকি করছিলো।

কিন্তু জবানবন্দি থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে ওয়াসিম দাবি করেছেন, তিনি নন মিতু আক্তারের কপালে গুলি করেন পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত মুছা। অন্যদিকে অপর আসামি আনোয়ার বলছেন, ওয়াসিমই মিতুকে গুলি করেন। তবে জবানবন্দীর তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখলে দেখা যায়, মুছাই তাদের ভাড়া করে এই কিলিং মিশনে আনেন। মুছা ছাড়াও তাদের সঙ্গে ছিলেন নবী, কালু, শাহজাহান ও রাশেদ নামের আরও চার জন।

তবে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে কার নির্দেশে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা পরিস্কার করেনি ওয়াসিম ও আনোয়ার। তারা জবানবন্দীতে বলেছেন, তারা শুধু ভোলাও মুছাকে চিনেন। কারন তারাই তাদের ভাড়া করেছিলো। রবিবার আদালতে দেয়া এই জবানবন্দীতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো.হারুন অর রশিদ ওয়াসিমের ১৪ পৃষ্ঠা এবং আনোয়ারের ১০ পৃষ্ঠার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দী সূত্রে আরো জানা যায়, ওয়াসিম জানান, মিতুকে হত্যার আগে ছেলে মাহির নবীর পা ধরে কান্না করতে থাকে, ‘আম্মুকে তোমরা মেরো না, আম্মুকে মেরো না’। মুছা ধাক্কা দিয়ে মাহিরকে সরিয়ে দেন। এসময় নবী পেছন থেকে মিতুকে প্রথম ছুরিকাঘাত করেন। মিতু ঘুরে একবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়ান। এসময় নবী তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। এসময় ওয়াসিম ফাঁকা গুলি করলে মুছা তার কাছ থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে মিতু আক্তারের কপালে গুলি করেন।

ওয়াসিম জবানবন্দিতে আরও জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের পর তিনি বাসায় গিয়ে টেলিভিশনের স্ক্রলে এসপি বাবুলের স্ত্রী খুনের বিষয়টি দেখতে পান। তখনই কেবল তিনি জানতে পারেন, তারা যাকে খুন করেছেন তিনিই এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী। ওয়াসিম জানান, তখনই তিনি মুছাকে টেলিফোন করেন। মুছা তখন বলে, খবরদার কাউকে বলবিনা। বললে একেবারে মার্ডার কেইসে ঢুকিয়ে দেব। আমি ভয় পেয়ে যাই। এরপর জবানবন্দিতেও ওয়াসিম জানান, আমার ভয় পাওয়ার কারন, মুছা পুলিশের বড় সোর্স। অন্যদিকে জবানবন্দিতে আনোয়ার বলেন, নবী মিতু আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে। মুছা ফাঁকা গুলি করে আর ওয়াসিম তাকে গুলি করে।

গুলি চালানোর বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও উভয়েই তাদের জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, মুছাই তাদের মিতু আক্তারকে খুন করার জন্য ভাড়া করে আনেন। মুছা কেন মিতুকে খুন করার নির্দেশ দেন সেটা তারা জানতেনও না। দু’জনই জানান, ভোলা নামে একজন খুনের জন্য তাদের দুটি পিস্তল দেন। ওয়াসিম, আনোয়ার, ভোলা এবং শাহজাহান বর্তমানে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে।্ নবী ও রাশেদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। বর্তমানে পলাতক আছে মুছা ও কালু। পলাতক মুছাকে ধরতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সিএমপি।

সিএমপি সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, ওয়াসিম, আনোয়ার, ভোলার তথ্যে যে মুছার নাম উঠেছে, তার পুরো নাম কামরুল ইসলাম মুছা সিকদার। রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ইউনিয়নের রাণীরহাট এলাকার খোয়াইল্লাপাড়ার মৃত শাহ আলম সিকদারের তৃতীয় পুত্র। তারা ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তৃতীয় পুত্র মুছা সিকদার মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা চলে যান সৌদি আরবে। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর সুবিধা করতে না পেরে ২০০০ সালের শুরুর দিকে দেশে চলে আসে। বিয়ে করে আপন চাচা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল ফারুখ সিকদারের মেয়ে পান্না সিকদারকে। পারিবারিকভাবে মুসলিম লীগ ঘরানার মুছা সিকদার ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির ক্যাডারদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। মূলত প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাত ধরেই তার উত্থান ঘটে। পুলিশ ও র‌্যাবের বিশ্বস্ত সোর্স হিসেবে তাদের পরিচিতি বাড়তে থাকে এলাকায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতে গিয়ে মুছা সিকদারের সাথে রাঙ্গুনিয়া ছাড়াও আশপাশের রাউজান হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি থানার অপরাধী চক্রের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। নিজেই জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে। হাটহাজারী সার্কেল থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন মাতব্বর বদলি হয়ে যাবার বাবুল আকতার এএসপি হিসেবে হাটহাজারী সার্কেলে আসার পর তাঁর সাথে পরিচয় ঘটে মুছার। এরপর থেকেই তাদের মাঝে সখ্যতা বাড়তে থাকে। বাবুল আকতার দীর্ঘদিন হাটহাজারী সার্কেলের এসএসপি’র দায়িত্ব পালনকালে মুছা সিকদার সোর্স হিসেবে কাজ করেছে। বাবুল আকতার কক্সবাজার বদলি হয়ে গেলেও চট্টগ্রামে মুছা সিকদারকে ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। এরপর জাতিসংঘ মিশন ঘুরে সিএমপিতে আসার পরও সোর্স হিসেবে কাজ করেন মুছা সিকদার। বাবুল আকতারের বাসায়ও যাতায়াত ছিল মুছা সিকদারের।

এরপর মিতুর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলির উৎস অজানা রেখেই মিতু হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ‘পরিকল্পনাকারী’ কামরুল শিকদার ওরফে মুছাকে কার নির্দেশে এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা অস্ত্র দিয়েছিলেন, তা উল্লেখ নেই তদন্ত প্রতিবেদনে। পুলিশের ভাষ্য, রিমান্ডে ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ভোলা , মনির কেউই অস্ত্রের উৎস জানাতে পারেনি।

নিহত হওয়ার ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ভোলা ও রিকশাচালক মনির হোসেনকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়। অস্ত্র মামলায় আদালতে ওই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

আইন বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন চৌধুরী জানান, এটি একটি আজগুবি ও বানোয়াট তদন্ত রিপোর্ট। ভোলা মুছাকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, পুলিশ পরবর্তীতে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছে। কিন্তু জানতে পারেনি অস্ত্রগুলো কার নির্দেশে মুছাকে সরবরাহ করেছিলো ভোলা। সিনিয়র এই আইনজীবী ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, মিতু হত্যাকান্ডে আসল খুনীদের আড়াল করতে যাকে তাকে ধরে এনে রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে মনগড়া তথ্য জানাচ্ছে পুলিশ। যার প্রভাব পড়েছে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্রে। যে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হলো, তা পরবর্তীতে অভিযোগ গঠনের পর যদি বিচার কাজ শুরু হয়, বিচারে তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ধোপে টিকবে না। বিচারক মূল নির্দেশদাতার নাম জানতে চাইবে। আর নাম প্রমান সহকারে আদালতে উপস্থাপন না করলে আজ হোক আর কাল হোক, আসামী খালাস পাবে। এটি খুবই দূর্বল একটি অভিযোগপত্র বলে জানান এই সিনিয়র আইনজীবী।

এদিকে শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলেন। এসআই আকরাম নামে নিহত এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী বর্ণির সঙ্গে বাবুলের অনৈতিক সম্পূর্কের কথা আকরামের বোন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন। এছাড়া মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনও বিভিন্ন সময় বাবুলের পরকীয়া নিয়ে গণমাধ্যম কথা বলেছেন।

আজ বিকেল মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আগেও বলে আসছি এখনো বলছি বাবুলের পরকীয়ার বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হোক। আমরা চাই, বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হোক। তার সাথে যাদের পরকীয়ার সম্পূর্ক ছিলো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তিনি আরো বলেন, আমার শতভাগ বিশ্বাস পুলিশ বাবুলের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু বাবুলকে বাঁচাতে চুপ হয়ে আছে। কারন বাবুল তার নিজস্ব লোক দিয়ে মিতুকে খুন করেছে।

বাবুল বর্তমানে আদদ্বীন হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। মাহির, তাপুর এখন নানার কাছে ছেড়ে বাবুল আক্তারের সাথে থাকেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর