বেগুনের দাম এক দিনে বাড়ল ২০ টাকা

মাত্র এক দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেগুনের দাম কেজিপ্রতি বাড়ল ২০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচ, লেবু, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, টমেটো এবং শসার। রোজার আগের দিন হওয়ায় গতকাল বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল বেশি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতারা হঠাত্ করেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এসব পণ্যের। অথচ বাজারে কোনো সঙ্কট তৈরি হয়নি এবং সরবরাহেও কোনো ঘাটতি নেই। আগের দিন শুক্রবারও রাজধানীর বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। আর গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, প্রথম রোজার দিন (আজ রোববার) বেগুনসহ এসব পণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। সুতরাং আজ বা কাল বেগুনের দাম ৮০ টাকা ছাড়িয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি টমেটো ৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫, শসা ৪০ থেকে বেড়ে ৫০, ধনেপাতা ১০০ থেকে বেড়ে ১৪০, পুদিনা পাতা ২০০ থেকে বেড়ে ২২০, লেবুর হালি ২০ টাকার বদলে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব কাঁচা বাজারের অন্যান্য পণ্যের ওপরও পড়েছে। এক দিনের ব্যবধানে চাল কুমড়া (প্রতি পিস) ৪০ টাকার বদলে ৫০, প্রতিকেজি কচুর লতি ৫০ টাকার বদলে ৬০, পটোল ৬০, ঢেঁড়স ৫০, ঝিঙ্গা ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, করলা ৫০, কাঁকরোল ৫০, আলু ১৮-২০, পেঁপে ৪০-৫০, কচুর মুখী ৬০, প্রতিটি ফুলকপি ৫০, বাঁধাকপি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়েছে পিঁয়াজেরও। শুক্রবার যেখানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায় সেখানে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। চালের বাজারও অস্থিতিশীল। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। মোটা স্বর্ণা চাল কেজিপ্রতি ৪৫, পারিজা চাল ৪৪-৪৫, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৬, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২-৫৪, বিআর২৮ ৪৮-৫০, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫৪, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৬, পাইজাম ৪৮-৫০, বাসমতি ৫৬, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ এবং পোলাওর চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল মাছের বাজারেও দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা। আকার ভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০, কাতল ৩৫০-৪০০, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০, সিলভার কার্প ২০০-২৫০, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ প্রতিকেজি ১৫০-২৫০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০-৮০০, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০, প্রতিটি মাঝারি আকারের ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশন গরুর মাংসের কেজি ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এ দামে কোথাও মিলছে না গরুর মাংস। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা। এছাড়া খাসির মাংস প্রতিকেজি ৭৫০-৮০০, ব্রয়লার মুরগি ১৬০, লেয়ার মুরগি ১৮০, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর