কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আলোচনায় প্রেসিডেন্টপুত্র তুহিন

এবার নির্বাচনী টার্গেট নিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) প্রার্থী হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহাম্মদ তুহিন। নিজের বাড়ি মিঠামইনে হলেও তার বড়ভাই রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সেখানকার সংসদ সদস্য। তৌফিক টানা দ্বিতীয়বারের মতো ওই আসনের এমপি হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফলে কটিয়াদীতে শ্বশুরবাড়ির সুবাদে তুহিনের নজর এবার কিশোরগঞ্জ-২ আসনের দিকে। এ আসনের দলীয় লোকজনও তাকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছেন। ফলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একজন শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন প্রেসিডেন্টপুত্র তুহিন।
রাসেল আহমেদ তুহিনও পাকুন্দিয়ায় তার অনুসারী নেতাকর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। এছাড়া কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বানিয়াগ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের জামাতা প্রেসিডেন্টপুত্র রাসেল আহাম্মদ তুহিন কটিয়াদী উপজেলায়ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়াসহ নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় গত ৩০শে ডিসেম্বর রাতে জেলা শহরের খরমপট্টির পারিবারিক বাসায় রাসেল আহাম্মদ তুহিন তার সমর্থনপুষ্ট নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্যদের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউল ইসলাম হাদিও জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে পাকুন্দিয়া থেকে আসা দলীয় লোকজন তুহিনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনি যদি আগামী দিনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে পাকুন্দিয়ায় যান তাহলে আমরা স্বাগত জানাবো। অনুষ্ঠানে আসা জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ তার বক্তৃতায় বলেন, যোগ্য অভিভাবকের অভাবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাকুন্দিয়াবাসী আপনি রাসেল আহাম্মদ তুহিনকে সেই অভিভাবক মনে করেন। তারা রাসেল আহাম্মদ তুহিনকে আগামী দিনে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান। এ ধরনের বক্তব্যের সূত্র ধরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা রাসেল আহাম্মদ তুহিনের মতামত জানতে চাইলে তিনিও আগামী দিনে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান। তবে মুরুব্বিরা আছেন, তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই অনুষ্ঠানের পরদিনই গত ৩১শে ডিসেম্বর রাসেল আহাম্মদ তুহিন পাকুন্দিয়া ছুটে যান। সেখানে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া ছাড়াও পাকুন্দিয়া বড়বাড়ি ইয়ুথ ক্লাব এন্ড পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত হাল দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেন স্বপন। পাকুন্দিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি মো. শাহাজাহান মিয়াসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, রাসেল আহাম্মদ তুহিন দীর্ঘদিন যাবৎ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তার একটি বড় গুণ হচ্ছে, তিনি তার পিতা প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মতোই সবাইকে সহজে আপন করে কাছে টেনে নিতে পারেন। তরুণ এ নেতাকে ঘিরে পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ শুরু হয়েছে বলেও জানান দলীয় নেতাকর্মীরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর