নদী পথের নাব্যতা বাড়াতে ৫৩টি নদীতে ড্রেজিং চলছে

এক সেমিনারে জানানো হয়, সরকার নদী পথের নাব্যতা বাড়াতে ৫৩টি নদী পথের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নৌপথের নিরাপত্তায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে মেঘনা নদী বক্ষে ভাসমান নৌযানে ‘আমাদের নদী, আমাদের মা, তাই তাকে বাঁচাতে হবে’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি সংস্থা নোঙর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক হাসনাত আরিফ উদ্দিন, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও কমিটির সভাপতি ও পরিবেশবিদ মিহির বিশ্বাস, শীতলক্ষ্যা বাঁচাও কমিটির সভাপতি শামসুল মোমেন পলাশ, ধলেশ্বরী রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মাহবুুব আহমদ , সাংবাদিক আতাউর রহমান, রহমান মোস্তাফিজ, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। সেমিনারে বক্তরা বলেন, নদী পথে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ২০১৬ সালে নৌ পথ অনেকটাই নিরাপদ ছিল এবং বড় ধরনের কোন নৌ দুর্ঘটনা ঘটেনি। নৌ পথের নিরাপত্তায় গণমাধ্যমকে যথাযথ ভূমিকা পালন করার গুরুত্বারোপ করে প্রতিবছর ২৩ মে জাতীয় ভাবে নৌ নিরাপত্তা দিবস পালন করার জন্য দাবি জানানো হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে প্রতি বছর ২৩ মে জাতীয়ভাবে নৌ নিরাপত্তা দিবস পালন করার দাবি জানিয়ে নোঙ্গরের সভাপতি সুমন শামস বলেন, ২০০৪ সাল থেকে আমরা নৌ পথের নিরাপত্তায় এবং নদী বাঁচাও আন্দোলন করছি। এতে নৌপথে যাত্রীরা আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জনবল সংকটের কথা বলা হলেও তা সমাধানে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। নৌ পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ছিল। যা বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার। হাসনাত আরিফ উদ্দিন বলেন, দেশের মোট জলযানের ফিটনেস ও নৌ নিরাপত্তা বিধানে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ায় গত বছর বড় ধরনের কোন নৌ দুর্ঘটনা ঘটনি। তবে ৫৩ টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আগের তুলনায় যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। সরকারও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বাসস।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর