গণহত্যা প্রতিরোধ ও বিচারের বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান

‘কখনোই গণহত্যা এবং গণনির্যাতনমূলক অপরাধ নয়’ মর্মে বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে এশিয়া প্যাসিফিক পরিপ্রেক্ষিতেও এনিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গণহত্যা প্রতিরোধ, বিচার এবং স্মৃতি পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চল এবং মহাদেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।’

শুক্রবার রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নবনির্মিত ভবনে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা এবং বিচার’ এর পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ লড়াই এবং সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হন। ১৯৯৬ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এরপর থেকেই দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তিনি। গরিব মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সেফটি নেট প্রোগ্রাম চালু করেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আমরা এখন উন্নয়নের মহাসমুদ্রে এগিয়ে যাচ্ছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্য দেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের সময় যে গণহত্যা হয়েছে তার কিছু খণ্ড চিত্রও তুলে ধরেন।

তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আজ শুক্রবার ছিল প্রথম দিন। এ দিনের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারেক আলী। বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক আলিক্সানডার হিনটন, আর্জেন্টিনার জজ কারলোস রোজানসকি, ড. ট্রুডো এইচ পিটারসন।

এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কানাডা, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপালসহ ৯টি দেশের গবেষণা বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া দেশের ৯৮জন বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৬৪জন শিক্ষার্থী আর ৩৪জন বিভিন্ন পেশায় গবেষণায় নিয়োজিত।

অনুষ্ঠানে শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিসংগ্রামের চিত্র মঞ্চস্থ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংগঠন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর