হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৮ লাখ পরিবার

পাহাড়ি ঢলে অকাল বন্যায় দেশের হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় মোট আট লাখ ৫০ হাজার ৮৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হাওর পরিস্থিতি নিয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। হাওরে চলমান বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন কমিটির সদস্যসচিব ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মহসীন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওর এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে শুক্রবার হাওর পরিস্থিতি নিয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে ক্ষয়ক্ষতির হালনাগাদ এ তথ্য তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওই বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য সচিব ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোহাম্মদ মহসীন হালনাগাদ তথ্য সাংবাদিকদের সামনেও তুলে ধরেন।

বৈঠকে যুগ্ম সচিব জানান, মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যা দিয়ে যুগ্ম সচিব বলেন, সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের দুই হাজার ৮৬০টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৫ হাজার ৩৪৫টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছয় জেলায় মোট ২১৩ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জে তিন হাজার ৯০২টি হাঁস ও চারটি মহিষ মারা গেছে।

এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত পরিবারপ্রতি ৩০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সরকারি ঘোষণার কথা জানান তিনি।

যুগ্ম সচিব জানান, শুক্রবার পর্যন্ত ছয় জেলায় তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে চাল, ঢেউটিন ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

গতমাসের শেষ দিকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা তালিয়ে যায়। বোরো ধান কাটার এই মওসুমে হঠাৎ এই বন্যায় লাখ লাখ কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। এরপর পানি বিষাক্ত হলে মাছ মরা শুরু হয়; তারপর মরতে থাকে হাঁস।

পরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধি দল ওই এলাকা ঘুরে পানি পরীক্ষা করে বলে, প্রাথমিকভাবে ইউরেনিয়াম তেজস্ক্রিয়তার কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর