১৬ বছর পর বিয়ানীবাজার পৌরসভার ভোট মঙ্গলবার

সকল শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রথম নির্বাচন। প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে ঘিরে পৌরবাসীর মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা।

নির্বাচনি রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১১জন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১১টি বিশেষ দল মাঠে থাকবে।

নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুস শুকুর, বিএনপি প্রার্থী আবু নাসের, জাসদের শমসের আলম এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বর্তমান পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন, আবুল কাশেম পল্লব, মুহাম্মদ জমির হোসাইন, বদরুল হক ও আমান উদ্দিন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থী ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাউন্সিলর প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিকা করছেন।

৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ২৫ হাজার ২৪ জন ভোটার ১০টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৪৩০ জন এবং নারী ভোটার ১২ হাজার ৫৯৪ জন।

এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে। ছয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।

একই সঙ্গে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে থাকবেন পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি কেন্দ্রে দশজন করে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে আনসার ভিডিপির ১৪ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

পৌরসভার বাসিন্দা তাজবির আহমদ সাঈম বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিয়ানীবাজার পৌরবাসী জনরায় প্রদানের সুযোগ পাচ্ছেন। এখন থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পৌরসভার দায়িত্ব পালন করবেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের মতো আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেলাম।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে আমরা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এরই মধ্যে ভোট আয়োজনের সকল সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টায় শেষ হবে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন পরিস্থিতি সন্তোষজনক।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিয়ানীবাজারকে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। বিয়ানীবাজার সদর ইউনিয়নের সঙ্গে মুড়িয়া ও মোল্লারপুর ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে এ পৌরসভা গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তফজ্জুল হোসেন পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পান।

এ অবস্থায় আইনি জটিলতায় পড়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন ১৬ বছর আটকে ছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে দুইটি মামলা থাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে শঙ্কা ছিল।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর