হাওরে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অকাল বন্যায় ফসল হারানো হাওর অঞ্চলে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। এই অবস্থায় একজন মানুষও যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। তিনি জানান, ত্রাণ পাঠানোর পাশাপাশি বিতরণেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ত্রাণ বিতরণে যারা গাফিলতি করবে তাদেরকেও ছাড় দেয়া হবে না।

হাওর অঞ্চলে মে মাসের দিকে উজানের ঢলে বন্যা হলেও এবার পানি এসেছে অনেক আগে। আর চলতি বছর যে পরিমাণ পানি এসেছে, এর আগে তা কখনও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আগাম বন্যা হওয়ায় হাওরের ধানের প্রায় সব ধ্বংস হয়ে গেছে। ধান পাকার আগেই তলিয়ে গেছে ফসল এবং এতে বিপুল জনগোষ্ঠী অর্থৈনৈতিক অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।

এই বন্যায় বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণার হাওর অধ্যুষিত হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ও সিলেট জেলাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করতে এর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্যান্য অনেক বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয় হাওর অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো কৃষক এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এবং কোনো ধরনের ভোগান্তির যেন তারা শিকার না হয়।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো কৃষক এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এবং কোনো ধরনের ভোগান্তির যেন তারা শিকার না হয়।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিলিফ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট যে মিনিস্ট্রি রয়েছে তারা যাতে একটু তৎপর হয় সে ব্যাপারে অনুশাসন দেওয়া হয়েছে।’

কোন ধরণের তৎপরতার কথা বলা হয়েছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘যা প্রয়োজন পুনর্বাসনের জন্য, জনগণ যাতে সন্তুষ্ট হয় যে আমাদের জন্য কিছু করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ত্রাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান করে ফেলেছে, কাজও করছে। তারপর যেটা করছে সেটা যাতে সবাইকে জানানো হয়।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর