পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের সাইদুর রহমান পেঁপে চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মণ্ডলের ছেলে। সাইদুর বর্তমানে উপজেলার সফল মানুষের অনন্য উদাহরণ। তার বাগানের চাষকৃত পেঁপে বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দিগন্ত জোড়া সবুজ পেঁপে গাছ আর প্রতিটি গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় পেঁপে। সাইদুর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আজ থেকে প্রায় ১১ বছর পূর্বে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় পেঁপে গাছের চারা বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা করার এক পর্যায়ে তিনি নিজেই পেঁপে চাষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই উদ্যোগেই ১৯৯৭ সালে প্রথম পেঁপে চাষ শুরু। প্রথম দিকে তিনি মাত্র দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁপে চাষ শুরু করেন। তারপর ওই লাভের টাকা দিয়ে বর্তমানে তিনি ১২ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করছেন। প্রতি মৌসুমে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করে থাকেন। চলতি শেষ মওসুমে তিনি প্রতি মণ পেঁপে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দামে  বিক্রি করেছেন। যা অন্যান্য মওসুমের তুলনায় অনেক ভালো। তিনি বর্তমানে অস্বচ্ছল জীবন থেকে পরিবারের ছয়জন সদস্য নিয়ে স্বচ্ছলভাবে জীবন-যাপন করছেন। তার বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার অনেক বেকার মানুষের। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা তার বাগানের পেঁপে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের চাহিদা পূরণ করে তার বাগানের পেঁপে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান তিনি। নিজের দৃঢ় মনোবল, কঠিন পরিশ্রম আর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় আজ তার পেঁপে চাষের এই সফলতা। পেঁপে গাছে কখন কোন সার ছিটাতে হবে, কোন ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি ভবিষ্যতে এই পেঁপে চাষকে নিজের এলাকাসহ দেশের বেকার মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান। এ বিষয়ে রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, পেঁপে চাষি সাইদুর রহমানের সফলতার পেছনে রয়েছে তার ঐকান্তিক চেষ্টা। তিনি উপজেলায় সফল মানুষের মধ্যে একজন। উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সব সময় সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর