৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা

সরকার রাজধানীর বিভিন্ন রুটে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের পাতানো ফাঁদ ‘সিটিং সার্ভিস’ বন্ধ ঘোষণা করলেও বাস্তব চিত্র একই। বরং বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। এমন বেশ কিছু চিত্র দেখা গেলো রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে।

সোমবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে দেখা যায়, বাস থামছে, যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। আগেই বলে দেওয়া হচ্ছে ভাড়ার পরিমাণ।

নিউ ভিশনের স্বজন পরিবহন চলে সদরঘাট থেকে ধামরাই। সদরঘাট থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে দাঁড়ালো স্বজন পরিবহনের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৫২১)। বাসটিতে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। ডেকে ডেকে যাত্রী তোলা হচ্ছে। এমন সময় যাত্রীদের উদ্দেশ্যে হেলপার বলছেন, যারা পল্টন থেকে উঠেছেন তারা শাহাবাগ নামলে ১৫ টাকা ভাড়া আর প্রেসক্লাব থেকে ১০ টাকা। এমন অতিরিক্ত ভাড়ার কথা শুনে যাত্রীরা কেউ কেউ প্রতিবাদও করেন।

এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে স্বজন পরিবহনের সুপারভাইজার হাবিব বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না, চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছি।’

আবার সদরঘাট থেকে মিরপুর-১২ গামী শিকড় পরিবহন, মতিঝিল থেকে মিরপুর-১২ গামী বিকল্প, সদরঘাট থেকে মিরপুর-১২ গামী ইউনাইটেড, সদরঘাট থেকে মিরপুর-১০ গামী বিহঙ্গ পরিবহনেও চলছে বাড়তি ভাড়ার নৈরাজ্য।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা হলেও আগের মতো অতিরিক্ত ভাড়াই নিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসে ওঠার আগেই যাত্রীদের কাছে জানতে চাইছে কোথায় যাবো। পরে শর্ত দিচ্ছে ভাড়া কত দিতে হবে। চুক্তি করেই যাত্রীদের বাসে ওঠানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, চার্ট মেনেই ভাড়া নিতে ও দিতে হবে উল্লেখ করে বিআরটিএ’র যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চার্টে প্রতি কিলোমিটার মিনি বাসের জন্য ১ দশমিক ৬০ টাকা, বড় বাসের জন্য ১ দশমিক ৭০ টাকা ভাড়া। আবার মিনিবাস সর্বনিম্ন ৫ টাকা ও বড় বাস ৭ টাকা ভাড়া। এই নিয়মেই যাত্রীদের ভাড়া দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর