ফের মুখোমুখি মহিউদ্দিন-নাছির

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরকে একহাত দেখে নিবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এজন্যই তিনি নগরবাসীকে আগামী ১০ তারিখ নগরীর লালদীঘি ময়দানে সমাবেশে আসার অনুরাধ জানিয়েছেন।আর সমাবেশটির আয়োজন করেছেন সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।

নাতনির আকিকা উপলক্ষে আয়োজিত মেজবানে সাংবাদিকদের নিজ বাসায় দাওয়াত দেন মহিউদ্দিন। শনিবার অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান তিনি। তিনি বলেন, আমি মহিউদ্দিন চৌধুরী। জীবনে নরম কথা বলি নাই। কারও কাছে মাথা নত করি নাই। ১০ তারিখ লালদীঘিতে আসুন, সেখানে গরম কথা বলব।

জানা গেছে, সোমবার লালদীঘির মাঠে বর্ধিত হারে হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং মৎস্যজীবীদের অধিকার আদায়ে ডাকা হয়েছে এই সমাবেশ। সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ব্যানারে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।

সংগঠনটির নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাদের ডাকা সমাবেশের প্রধান অতিথিও মহিউদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগকে তৈরি করেছি। চট্টগ্রামে রাজনীতির ক্ষেত্র আমি তৈরি করেছি। আজ যা ইচ্ছা তা-ই করে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী। অন্যায়কে জীবনে প্রশ্রয় দিই-নাই। আগামীতে যারা অন্যায় করবে, দলের ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াব। ’

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে নগরীতে মাছের সবচেয়ে বড় আড়ত (মৎস্য অবতরণকেন্দ্র) ফিশারিঘাট বর্তমান পাথরঘাটা থেকে সরিয়ে বাকলিয়ার রাজাখালীতে নিয়ে যাবার আদেশ দেন মেয়র।

বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে মাছের আড়তটি পাথরঘাটা থেকে স্থানান্তরে বাধা দেন মহিউদ্দিন। এতে মাছের আড়তটি আবারও ফিরেছে পাথরঘাটায়।

এর আগে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য গত বছরের মার্চ থেকে মেয়র নগরীতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ নেন। শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করে আসছেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী তবে বর্ধিত হারে গৃহকর আদায়ের কার্যক্রম সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি স্থগিত হয়েছে।

এরপর দুটি ঘটনায় আ জ নাছিরের কর্তৃত্ব খর্ব হওয়ায় বিভিন্ন সমাবেশেও তিনি বলেছেন কোনো ব্যক্তি ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। সেই ব্যক্তি মহিউদ্দিন চৌধুরী এটাই তিনি বুঝিয়েছেন বিভিন্ন সময়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর