প্রধানমন্ত্রীর কথায় অবসর ভাঙবেন মাশরাফি

অন্য সবার মতো টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজার বিদায় মেনে নিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই মাশরাফিকে ফোন দিয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। এখন দেখার বিষয়, প্রধানমন্ত্রীর কথা রাখবেন কি-না ম্যাশ।

ক্রীড়াজগতে অবসর ভাঙার চিত্র নতুন কিছু নয়। কেউ কেউ একাধিকবার অবসর নিয়েও সেটা বরখেলাপ করেছেন। ফুটবলে অবসর ভাঙার ঘটনা তো হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। ইংলিশ ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, পাক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি থেকে শুরু করে কিংবদন্তী মাইকেল ফেলপস, টেনিস তারকা মার্টিনা হিঙ্গিস সবশেষ অবসর ভেঙে মাঠে ফেরায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি।

এদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে ফেরাতে সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অনুরোধ ছিল। মেসির অবসর ভাঙাতে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট একপ্রকার উঠেপড়ে লেগেছিলেন। মেসিকে ফিরে আসতে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও মাসরি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার দুই সপ্তাহের মাথায় অবসর ভেঙে ফুটবলে ফিরেন মেসি। যদিও মেসির অবসর ভাঙে আর্জেন্টিনার নয়া কোচ বাউজার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই।

তবে প্রধানমন্ত্রীর কথায় মাশরাফি আবারও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে আসলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এটা অবশ্য নির্ভর করছে ম্যাশের উপর। মাশরাফি ফিরে আসুক এটা চাচ্ছেন তাঁর ভক্তরাও। এরই মধ্যে মাশরাফিকে ফেরাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে চলছে ম্যাশ বন্দনা। সবার মুখে একই কথা, ‘মিস ইউ ক্যাপ্টেন ইন টি-টোয়েন্টি।’

প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে ক্রিকেটের এই ফরম্যাটকে বিদায় বলে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির জার্সি গায়ে জড়ান মাশরাফি। এরপর থেকে ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। বল হাতে শিকার করেছেন ৪২টি উইকেট। ব্যাট হাতে ৩৯ ইনিংসে করেছেন ৩৭৭ রান। অপরাজিত ছিলেন ১১ বার। টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ২৮টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। তাঁর নেতৃত্বতে লাল-সবুজের দেশটি জিতেছে ১০টি ম্যাচ। যেটা অধিনায়ক হিসেবে কোনো বাংলাদেশির সর্বোচ্চ সাফল্য।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর